শিরোনাম
◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০২৩, ০৩:২৩ দুপুর
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০২৩, ০৩:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আমার বার্তা’র অসত্য প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানালো বিএসএমএমইউ

বিএসএমএমইউ

দৈনিক ‘আমার বার্তা’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসাসেবা ক্ষমতাধরদের কাছে জিম্মি’ শিরোনামে একটি রিপোর্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। রিপোর্টে সাংবাদিক জনাব রতন বালো সারা বাংলাদেশে সিনিয়র সিটিজেনদের চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসা ব্যবস্থাকেই, ‘ক্ষমতাধরদের কাছে জিম্মি’ এরকম একটি অতিরঞ্জিত ও বিভ্রান্তিকর শিরোনাম দিয়ে তার বক্তব্যকেই ঘোলাটে করে ফেলেছেন।  

বাংলাদেশের হাসপাতালের আউটডোরে যতো রোগী দেখা হয় তার মধ্যে বয়স্ক ও সিনিয়র সিটিজেদের সংখ্যা কম নয়। বিভিন্ন রোগ ব্যাধি ও চলন অক্ষম হওয়ায় আউটডোরে লাইন দিয়ে ও ধাক্কাধাক্কি করে ডাক্তার দেখাতে তাঁদের কষ্ট হয়। বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। আর সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসক সংখ্যাও কম। এটা একটা জাতীয় সমস্যা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ তাঁদের বিভিন্ন সময়ের সাক্ষাৎকারে বারবার এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্বারোপ করেছেন। 

বিএসএমএমইউ বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের সাধারণ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন ১০ হাজারের চেয়ে বেশি রোগী এখানকার আউটডোর এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়। এটা একটা বিশ্ব রেকর্ডের মতো। বৈকালিক আউটডোর এ আরও কয়েক হাজার রোগী সামান্য ভিজিটের বিনিময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পারেন। সারা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বিএসএমএমইউ’র ভূমিকা যেমন অমূল্য, এটাকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও তাঁর প্রশাসনের ভূমিকা তেমনই মূল্যায়নের দাবি রাখে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকসহ সকল সেবা ও প্রশাসনিক কার্যকলাপ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য গত ২ বছর তিনি কোনো কোনো দিন ২০ ঘণ্টা কাজ করেছেন বলে দেখেছি। শুধু তাই নয়, নিজের মায়ের ইন্তেকালের পরদিনই সবাই তাঁকে অফিস করতে দেখেছেন।

কোভিড মহামারীর সাথে যুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মাননীয় উপাচার্য  বিএসএমএমইউর সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফলে অসংখ্য মৃত্যু থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করে লক্ষ লক্ষ লোকজনকে এখানে চিকিৎসা ও টিকা দেওয়া হয়েছে। মাননীয় উপাচার্য এসব ক্ষেত্রেও দেশের সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন। এখানকার অনেক চিকিৎসক এই যুদ্ধে নিজের জীবন উৎসর্গ  করে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মাননীয় উপাচার্য নিজেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন ও দেশবাসীর দোয়ায় আরোগ্যলাভ করেছিলেন।  

বয়স্ক বা সিনিয়র সিটিজেনদের চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ আউটডোরে পর্যাপ্ত ও তাৎক্ষণিক সেবা মাননীয় উপাচার্য নিজেই ব্যবস্থা করেছেন। এখানে আউটডোরে দৈনিক ১০-১২ হাজার রোগী দেখাতে আসলে তার মধ্যে এক-দেড়শো বয়স্ক ব্যক্তি থাকবে এটাই স্বাভাবিক।  তাঁরা যদিও অন্যদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবেন না, কিন্তু সকল সিনিয়র সিটিজেনকে  চিকিৎসা সেবাও একসাথে দেওয়া সম্ভব হয় না।

এখানেও বয়স্ক রোগীদের মধ্যে কারো কারো দেরি হয়ে যেতেই পারে। তাছাড়া বয়স্ক রোগীদের অনেকে অনেক কোমরবিড রোগে আক্রান্ত থাকেন, তাই সাধারণ রোগীদের তুলনায় তাঁদের দেখতে অনেক সময় লেগে যাওয়াই স্বাভাবিক। এরকম কোনো সমস্যার কারণে কোনো সিনিয়র সিটিজেন লাইনে অপেক্ষায় বা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া অস্বাভাবিক নয়।

তবে বিগত ১১ মার্চ শনিবার যে সিনিয়র সিটিজেন সাংবাদিক এর কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে,  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ,  পরিচালক ও উপাচার্যের অফিসে এ সম্পর্কে কিছু জানা নেই। মাননীয় উপাচার্য ও হাসপাতালের পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিকভাবে সচেতন আছেন, তাছাড়া জাতির সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের ব্যাপারে মাননীয় উপাচার্য অত্যন্ত আন্তরিক ও দায়িত্বশীল। এ ব্যাপারে যেকোনো পর্যায়ে সামান্যতম অবহেলা উপাচার্য ও তাঁর প্রশাসন মেনে নেবে না। 

প্রতিবেদক এরকম একটি মানবিক বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ক্ষমতাধরদের টেনে এনে তাঁদের হাতে জিম্মি বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা পরিষ্কার না। রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। বিএসএমএমইউ কি সেই ক্ষমতাধর জনগণের কাছে জিম্মি? এটাই যদি প্রতিবেদকের বক্তব্য হয়, তাহলে বিএসএমএমইউর উত্তর হলোÑ আমরা জনগণের ইচ্ছার কাছে জিম্মি হয়েই থাকতে চাই। আর যদি প্রতিবেদক জনগণের ক্ষমতার চাইতেও বেশি ক্ষমতাধর কাউকে মনে করে থাকেন, তাহলে তাঁর নাম পরিচয় মাননীয় উপাচার্য ও তাঁর প্রশাসনের কাছে প্রকাশ করুনÑ উনারা ব্যবস্থা নেবেন। আমরা মনে করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ধর্ম, বর্ণ, বয়স নির্বিশেষে সকল মানুষই সমান। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা একটি মৌলিক অধিকার। আর শেখ হাসিনার বাংলাদেশে জনগণই সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর। বিএসএমএমইউর মাননীয় উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আমরা সেই জনগণের ক্ষুদ্র সেবকমাত্র। 

ডা. এস এম ইয়ার ই মাহাবুব 
প্রধান সমন্বয়ক, মিডিয়া সেল,  উপাচার্যের কার্যালয়,  বিএসএমএমইউ

এআরভি/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়