শিরোনাম
◈ পহেলগাঁও সন্ত্রাস নিয়ে কারাগার থে‌কে ভারতকে ইমরান খা‌নের হুম‌কি ◈ বার্সেলোনা ও  ইন্টার মিলানের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র ◈ শ্রীলঙ্কা‌কে হা‌রি‌য়ে সিরিজে এগিয়ে গে‌লো বাংলাদেশের যুবারা ◈ শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ চলছে, আইএলওতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ঝুঁকিতে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন ◈ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে: আকাশসীমা বন্ধ, সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা ◈ ৩২ বছর পর হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন, তারিখ ঘোষণা ◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন

প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২১ রাত
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাংবাদিক নূরুল কবীরকে বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করেছেন তিনি।

আজ শনিবার নূরুল কবীর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘দেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিবার বিদেশে যাওয়ার সময় আমাকে হয়রানি করছে।’

নূরুল কবীরের অভিযোগ, কলম্বো থেকে আসা-যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে দুই দফায় হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তিনি ১৮ নভেম্বর এশিয়া মিডিয়া ফোরাম ২০২৪-এ যোগ দিতে কলম্বো যান এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরেন।

পোস্টে তিনি জানান, সঠিক নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাকে বিদেশ ভ্রমণের কারণ নিয়ে জেরা করা হয়েছে। কখনো পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে, আবার কখনো পাসপোর্টের পাতা স্ক্যান করে ছবি তোলা হয়েছে, যা তার গোপনীয়তার লঙ্ঘন। এমনকি ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, এসব হয়রানি মূলত দেশ ছাড়ার সময় ঘটে, দেশে ফেরার সময় নয়।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘এবার ১৮ নভেম্বর যখন আমি একটি মিডিয়া কনফারেন্সে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম, তখন ভেবেছিলাম হয়রানির দিন হয়তো শেষ হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল। এবার হয়রানি দ্বিগুণ হয়েছে—প্রস্থানকালে এক ঘণ্টা এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরার সময় আরও এক ঘণ্টা।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দেশপ্রেমিক হওয়া মানেই যেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে সন্দেহভাজন হওয়া। ফলে আমি সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং তাদের সুপারভাইজ করা সরকারের দেশপ্রেম নিয়েই প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হচ্ছি।’নূরুল কবীরের এই অভিযোগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই এটি গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন।

এদিকে, এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে কোনো সাংবাদিকের হয়রানি সহ্য করবে না। নূরুল কবির দীর্ঘ কর্মজীবনে সম্পাদক, যুক্তির কণ্ঠস্বর ও সাংবাদিকতায় নৈতিকতার প্রধান অগ্রণী হিসেবে পরিচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়