শিরোনাম
◈ ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে মিয়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাসের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ নারী দল ◈ বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে ইসি'কে ৪.৮ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান ◈ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে একযোগে কাজের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা করবে নৌবাহিনী: নৌ উপদেষ্টা ◈ গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব: ট্রাম্প বললেন, ইসরায়েল ‘প্রয়োজনীয় শর্তে’ সম্মত ◈ দেশের ৩২ বিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান ◈ নতুন মূল্য নির্ধারণ এলপি গ্যাসের  ◈ আগামী এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল ◈ ৫ আগস্ট সাধারণ ছুটি ঘোষণা, প্রজ্ঞাপন জারি ◈ জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে জাতীয় সনদে পৌঁছার আশাবাদ আলী রীয়াজের

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ০৩:৩৩ দুপুর
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ০৪:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী কুঁড়ে ঘর

কুঁড়ে ঘর

আব্দুর রহিম: গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খড়-কোটার ছাঊনি দিয়ে তৈরি করা ঘর এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এক সময়ে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা ব্যাপী  বসবাসের প্রধান ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই সব কুঁড়ে ঘর।

গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চ শ্রেণির মানুষেরাও ব্যবহার করতেন এই ঘরগুলো। এক সময় গ্রামে সাধারণত কুঁড়ের ঘরের তুলনায় ইট কিংবা টিনের ঘর ছিল খুবই কম। কিন্তু আজ তা কালের বিবর্তনে সম্পূর্ণ বিপরীত। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কুঁড়ে ঘর এখন চোখে পড়ে খুবই কম। শ্রমজীবী মানুষেরা ধান কাটার পর অবশিষ্ট অংশ দিয়ে নিপুন হস্তে তৈরি করতো এই কুঁড়ে ঘর।

যারা এই ঘর তৈরি করতে পারদর্শী তাঁদেরকে বলা হতো 'ঘোরামী' । অত্যন্ত আরাম প্রিয় এই ঘরগুলো গরম কালেও ঠান্ডা এবং শীতকালেও এর ভিতরে বেশ গরম অনুভব হতো। আধুনিক যুগের আর্বতে এখন সেই গ্রামীণ ঐতিহ্যের ঘরের খোঁজ  আর পাওয়া যায় না।

সাধারণত এ ঘরগুলো বছরে একবার চাউনি দিলে অনন্ত এক বছর  চলে যেতো। আবার পুরাতন ঐ খর দিয়ে প্রায় দু'মাসের রান্নার কাজ সাড়া যেতো। কিন্তু ঐ সব ধান এখন চাষ করা হয় না।

যে কারণে ওইসব ধানের খড় এখন আর পাওয়া যায় না। ফলে খড়ের অভাবে এক ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে এসব ঘরগুলি ছাউনির জন্য। সরকারের উচিত গ্রামীণ ঐতিহ্যের এ ঘরগুলির অস্বিত্ব রক্ষা করা।

তারালী ইউনিয়নের জাফর পুর গ্রামের পঁচাত্তরাদ্ধ বয়স্ক আদর আলী সরদার বলেন, এক সময় সর্বস্তরের থাকার জায়গার উৎসস্থল ছিলো খড়কোটার ঘর। সময়ের পরিবর্তনে দালান কোটার আড়ালে এখন নিষ্প্রভ খড় কোটার কুঁড়ে ঘর। ঐতিহ্যের অংশকে আকঁড়ে ধরে রাখতে সকলের এগিয়ে আসতে হবে। খড় কুঠার ঘরকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তা না হলে একদিন কালের বিবর্তনে এই ঘরগুলো জাদুঘরে ঠাঁই নেবে।

প্রতিনিধি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়