হ্যাপী আক্তার: তাপপ্রবাহে যে কোনও বয়সের মানুষেরই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষত ছোটদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। ওদের কোমল শরীরে প্রখর রোদ এবং মারাত্মক তাপের প্রভাব পড়ে বেশি। তাতেই শিশুদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে এই প্রবল গরমে। সূত্র: নিউজ১৮
ভারতের সোবান সিং জিনা বেস হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এসএস বিস্ত বলেন, ‘এই গরমে শিশুদের কোনও ভাবেই বাইরের জিনিস খাওয়ানো ঠিক নয়। বিশেষত গরমের জন্য শিশুরা আইসক্রিম খাওয়ার বায়না করতে পারে। এটা মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। ঠান্ডা গরম লেগে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’
তার পরামর্শ বরং এই গরমের সময় যতোটা সম্ভব ফল, ফলের রস খাওয়ানো দরকার শিশুদের। এতে শরীর ঠান্ডাও থাকবে, আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
তিনি জানান, শিশুদের গরম থেকে বাঁচাতে তাদের এমন খাবার খাওয়াতে হবে যা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে। তরমুজ, শসা, জাম, লিচু আনারস এবং কমলার মতো ফল খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। ফলের রসও পান করা যেতে পারে। একই সঙ্গে পাহাড়ি ফল যেমন পিচ, এপ্রিকট, প্লাম, ইত্যাদিও খাওয়ানো যেতে পারে। তবে মাত্রাতিরিক্ত নয়।
চিকিৎসকের মতে, ১ থেকে ৩ বছরের শিশুর জন্য ৪ কাপ পানি, ৪ থেকে ৮ বছরের শিশুর জন্য ৬ কাপ, ৯ থেকে ১৩ বছরের শিশুর জন্য ৮ কাপ এবং ১৪ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত ১২ কাপ পানি প্রতিদিন পান করা প্রয়োজন। এই সময় শরীরে গ্লুকোজের খুব প্রয়োজন হয়। সাধারণত রুটি খেলে শরীরে গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। তবে কোনো বয়সে কতটা গ্লুকোজ নেওয়া হচ্ছে খেয়াল রাখা দরকার।
শিশুরা সারাদিন হুড়োহুড়ি করে। সেক্ষেত্রে গ্লুকোজ জাতীয় পানীয় তাৎক্ষণিক শক্তি দিতে পারে। কিন্তু তা যেন নির্ধারিত পরিমাণের বেশি না হয়।
এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :