শীত এলেই সুস্বাদু খাবারের সঙ্গে সর্দি-কাশি ও জ্বরের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সচেতন থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইমিউনিটি বাড়াতে আলাদা সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার দরকার নেই—শীতের কিছু সবজিই এই কাজ আরও ভালোভাবে করতে পারে। চলুন জেনে নিই কোন সবজিগুলো শীতের ইমিউনিটি বুস্টার।
১. গাজর
শীতের অন্যতম জনপ্রিয় সবজি গাজরে রয়েছে প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন, যা শরীরে ভিটামিন এ তৈরি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ শ্বাসযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে অত্যন্ত দরকারি। স্যুপে কিংবা কাঁচা সালাদে গাজর খেলে শ্লেষ্মা ঝিল্লি মজবুত হয়, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রথম প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে।
২. পালং শাক
পালং শাক আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এসব পুষ্টি রক্ত ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুটোকেই শক্তিশালী করে। পালং শাক শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে, যা ভাইরাস বা জীবাণুর আক্রমণ থেকে স্বাভাবিকভাবেই সুরক্ষা দেয়।
৩. ফুলকপি
ফুলকপি হালকা খাবার হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন সি, কোলিন ও নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ডিটক্স করতে সহায়তা করে এবং প্রদাহ কমাতে ভূমিকা রাখে। পরোটা, তরকারি বা স্যুপ—যেভাবেই খান না কেন, শীতে ফুলকপি ইমিউনিটি বাড়াতে চমৎকার উপকার দেয়।
৪. মটরশুঁটি
ছোটখাটো দেখালেও মটরশুঁটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। এতে রয়েছে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি ও ফাইবার। এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়—দুটোরই ইমিউনিটি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। তাই শীতের খাবারে মটরশুঁটি অবশ্যই রাখা উচিত।
৫. ব্রোকলি
শীতকাল ক্রুসিফেরাস সবজির মৌসুম, আর ব্রোকলি তার মধ্যে সবচেয়ে পুষ্টিকর। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফাইবারসহ সালফোরাফেন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মৌসুমী সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে। পুষ্টিবিদরা ব্রোকলি হালকা ভাপে রান্না করে খেতে পরামর্শ দেন, যাতে পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে।
সূত্র: যুগান্তর