শাহীন খন্দকার: [২] বৈশাখের শুরুতে জৈষ্ঠ্যের ভরামৌসুমে সর্বত্রই আমের ছড়াছড়ি।ধুম পড়ে যায় শহর থেকে গ্রামে আচার চাটনি,আমসত্বসহ মোরব্বা করার। এখন আধুনিক পদ্ধতিতেও দেশে-দেশে বিভিন্ন কোম্পানিও বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে বাজারজাত করছেন আমের আচার ব্যাবসায়িক চিন্তাভাবনা থেকে।
[৩] আমের রাজ্য রাজশাহীর বিভিন্ন আম বাগান থেকে ব্যাবসায়ীরা বৈশাখের শুরুতে কাচাঁ আম সংগ্রহ শুরু কওে দেন তাদেও নিজস্ব প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। আবার বড়বড় কোম্পানিগুলো বাগান ক্রয় করেও লোভনীয় আচার বাজার জাত করছেন।
[৪] জৈষ্ঠ্যেও তপ্ত গরম পড়তেই বাজারে আমের ছড়াছড়ি শুরু হয়েগেছে এখন। রাজশাহীর হিমসাগর, ল্যাঙড়া, গোলাপখাস, আম্রপালি আমের খোঁজ। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, যাদের রক্তে শর্করা বাড়তির দিকে, তাাদের জন্যে পাকা আম বিপজ্জনক হয়ে উঠতেই পারে।
[৪.১] পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পাকা এবং কাঁচা দু’ধরনের আমেরই পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই পরিমিত পরিমাণে কাঁচা আম কিংবা পাকা আম খাওয়া যেতেই পারে। কাঁচা আমের স্বাদ টক। আর পাকা আম মিষ্টি। দু’ধরনের আমের পুষ্টিগুণও দু’ধরনের। কাঁচা আম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
[৫]এছাড়া কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা ত্বক এবং চুলের জেল্লা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। আবার পাকা আমের মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। এই উপাদানটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। বয়সজনিত সমস্যাও রুখে দিতে পারে। তবে পাকা আমে যেহেতু শর্করার পরিমাণ বেশি, তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
[৬] তাই কাঁচা আমে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি। তাই রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আম খাওয়াই ভাল। আবার, পাকা আমে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। সে ক্ষেত্রে কাঁচার তুলনায় পাকা আম বেশি স্বাস্থ্যকর। আর পাকা এবং কাঁচা, দু’ধরনের আমেই ফাইবার রয়েছে। তবে কাঁচা আমে ফাইবার একটু হলেও বেশি। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :