শিরোনাম
◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২৩, ১২:৪৩ রাত
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০২৩, ০১:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে শ্রেষ্ঠ রমজান মাস 

ফাইল ছবি

ইসলাম ডেস্ক: রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস রমজান। এই মাস বিশ্বের সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবাই চায় কীভাবে এ মাস থেকে বেশি সওয়াব লাভ করা যায়।

রমজান মাস কেন শ্রেষ্ঠ? 

১৪০০ বছর আগে পবিত্র রমজান মাসে নবী করিম (সা.) এর ওপর আসমানি কিতাব আল কোরআন নাজিল হয়। এটা মুসলমানরা বিশ্বাস করেন। এজন্য পবিত্র রমজান মাসে তাকওয়া এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য একজন মুসলিম ব্যক্তি দিনের বেলা খাবার খাওয়া, কোনো কিছু পান করা এবং যৌন সম্পর্ক স্থাপন থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।   

হিজরী ক্যালেন্ডারে বারো মাসের মধ্যে শুধুমাত্র একটি মাসের নামই পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, আর সে মাসটি হলো রমজান। 

ফারসি শব্দ রোজার আরবি অর্থ হচ্ছে সওম, বহুবচনে সিয়াম। সওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ বিরত থাকা। আর সিয়াম সাধনার অর্থ: সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার, পাপাচার এবং খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত ও সংযত রাখা। এ পবিত্র মাস মানুষকে সব ধরনের গর্হিত ও অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখে এবং সবাইকে সাধ্যমত ইবাদাত বন্দেগি করার জন্য উৎসাহিত করে। 

প্রকৃতপক্ষে রমজান হলো অতীতের সব গুনাহর জন্য ক্ষমা চেয়ে সাচ্চা মুসলমান হয়ে জীবনযাপনের প্রতিজ্ঞা করার মাস।
 

অসংখ্য কারণে পবিত্র রমজান মাস অন্যান্য মাসের ওপর শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। তার মধ্যে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো:

রমজান কোরআন নাযিলের মাস 

আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। আসমানি গ্রন্থসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠগ্রন্থ পবিত্র কোরআন। আর শ্রেষ্ঠনবীর ওপর শ্রেষ্ঠগ্রন্থ যে মাসে নাযিল হয়েছে, সেটি মাহে রমজান। অতএব, শ্রেষ্ঠনবীর ওপর শ্রেষ্ঠগ্রন্থ নাযিলের মাস রমজানও অন্যান্য মাসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। 

রমজান মাসের নামই কোরআনে স্পষ্টাকারে উল্লেখ রয়েছে ।

মহাগ্রন্থ আল কোরআনে অন্য কোনো মাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি। শুধুমাত্র রমজান মাসের নামই উল্লেখ রয়েছে। তাই এ মাস শ্রেষ্ঠ হওয়ার এটিও একটি উল্লেখযোগ্য কারণ। 

হাদীসের ভাষ্যে রমজান আল্লাহর মাস 

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, শা’বান আমার মাস, আর রমজান হলো আল্লাহর মাস’ (মা’সাবাতা বিসসুন্নাহ)।

রমজান মাসে রোজা পালন করলে আল্লাহ তা’লা প্রতিদান ঘোষণা করেছেন এভাবে, ‘মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকীর সওয়াব দশ গুণ থেকে সাতাশ’ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তা’লা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোজার ব্যাপারটা ভিন্ন। কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্যই নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে। (সহীহ মুসলিম-১১৫১)।

হাদীসে কুদসীতেও অনুরূপ বর্ণনা এসেছে। নবীজী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তা’লা বলেন, রোজা আমারই জন্য রাখা হয় এবং আমিই এর প্রতিদান দেব’। (সুনানে বায়হাকি) 

লাইলাতুল কদর 

রমজান  মাসে রয়েছে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মাস, লাইলাতুল কদর। এ রাতে ইবাদত করলে হাজার রাতে ইবাদত করার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।  ইরশাদ হয়েছে, ‘লাইলাতুল কদর এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে ফেরেশতারা ও রুহ (জিবরাঈল আ.) তাদের পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক কল্যাণময় বস্তু নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। যে রাত পুরোটাই শান্তি, যা ফজর হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ’ (সূরা : কদর, আয়াত ৩-৫)

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস 

পবিত্র মাহে রমজান একাধারে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের সুসংবাদ দেয়। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘রমজান এমন মাস, যার প্রথমাংশে আল্লাহ তায়ালার রহমত বর্ষিত হয়। যার ফলে মানুষের জন্য গুনাহের গভীর অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসার এবং ইবাদত করে পবিত্র হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই মাসের মধ্যভাগে পাপ থেকে মুক্তি লাভ হয় এবং শেষাংশে জাহান্নামের যন্ত্রণাদায়ক স্থায়ী আজাব থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

এমএএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়