শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৬:২২ বিকাল
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৯:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় এগোচ্ছেনা মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প!

মডেল মসজিদ

আসাদুজ্জামান সম্রাট: অদ্ভুত এক সমস্যার মুখোমুখি দেশের ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প। পুরোনো রেট সিডিউলে এই প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরি ও অনুমোদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নির্মাণ সামগ্রী ও শ্রমের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা লোকসানের ভয়ে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন না। ফলে দু’দফা সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

২০১৭ সালে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প হাতে নেওয়ার সময় এর অনুমিত খরচ ছিল ৯ হাজার ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর ৯০ শতাংশ অনুদান হিসেবে সৌদি আরব থেকে আসার কথা ছিল। তবে ১ বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষা করার পরেও বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ায় প্রকল্পটির কাজ শুরু করা যায়নি। পরে নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

২০১৮ সালের ২৬ জুন প্রকল্পের খরচ ৩৪০ কোটি টাকা কমিয়ে ৮ হাজার ৭২২ কোটি করা হয় এবং বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির খরচ ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। এতে মোট খরচ ধরা হয় ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। একই সঙ্গে প্রকল্পটির নতুন মেয়াদকাল ধরা হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু এই মেয়াদকালেও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নজিবুর রহমান।

তিনি জানান, মহামারির কারণে ভূমি অধিগ্রহণ করতে দেরি হয়েছে। যার কারণে প্রকল্পে সময় বেশি লাগছে। দেরির কারণে ২০১৪ সালের খরচ অনুযায়ী তৈরি করা মূল বাজেট এখন আর কাজে আসছে না। ইতোমধ্যে শ্রম খরচ ও নির্মাণ সামগ্রীর দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে এই প্রাক্কলনে প্রকল্পের কাজ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেনা ঠিকাদাররা। মসজিদের জন্য জায়গা বুঝিয়ে দিতে না পারা এবং ঠিকাদাররা কাজ করতে না চাওয়ায় ৭৬টি মসজিদের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের জুনে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেছেন। আরও একশ’টি মসজিদ হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও একশ’টি প্রস্তুত হয়ে যাবে।

ডলার সংকটে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিতে এখনও মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে প্রকল্পের বরাদ্দে কোন কাটছাট করা হয়নি। চলতি অর্থবছরে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখে এই প্রকল্পের বরাদ্দের পুরোটা খরচের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রকল্পের অর্থ পেতে খুব একটা সংকট থাকবেনা বলে আশা করছেন প্রকল্প পরিচালক।

এ ব্যাপারে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি এ প্রতিবেদককে বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। কিন্তু প্রকল্পের জন্য অনুমোদিত দরের চেয়ে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ৫০টি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের উদ্বোধন করেছেন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও দেড়শ’ মসজিদ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়