শিরোনাম
◈ আমিরাতে ভিসা সংকটে বাংলাদেশি কর্মীরা: অনিশ্চয়তায় কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স প্রবাহ ◈ কিশোরগঞ্জে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে  যুবক নিহত আহত ৩০ ◈ সাড়ে ১৩ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা—সমাধান খুঁজতে কক্সবাজারে সম্মেলন ◈ ২০১৮ সালের নির্বাচনের বদনাম ঘোচাতে চায় পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার ◈ নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা ◈ জীবনের শেষ চিঠিতে যা লিখে গেছেন বিভুরঞ্জন ◈ দুবাইয়ে কোটিপতিদের স্রোত: কারণ কী?” ◈ বেনাপোল বন্দরে প্রথম চালানে ৩১৫ টন চাল আমদানি  ◈ মেঘনায় উদ্ধার হওয়া লাশটি সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের, নিশ্চিত করলেন স্বজনেরা ◈ জুলাই সনদ নিয়ে মতামত দিয়েছে ২৩টি দল

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ০২:৪৪ রাত
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে আমলে হায়াত ও রিজিক বাড়ে

আল্লাহ তাআলা কুরআন হাদিসে মানুষের অনেক কল্যাণের উপদেশ দিয়েছেন। কুরআনের বর্ণনায় কোনো মানুষ যদি বেশি বেশি ইসতেগফার করে তবে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার অভাব মুছে রিজিকে বরকত দেন আবার যাদের সন্তান-সন্ততি নেই তাদের সন্তান দেন। এভাবে মানুষের কাঙ্ক্ষিত চাহিদাগুলো মিটিয়ে দেন। এ সম্পর্কে হাদিসেরও অনেক বর্ণনা রয়েছে।

দৈনন্দিন জীবনের এমন অনেক সহজ কাজ ও আমল আছে যেগুলো যথাযথ পালনে রয়েছে অনেক উপকারিতা। এর মধ্যে উত্তম রিজিক ও নেক হায়াত বেড়ে যাওয়াও একটি।

এ হায়াত ও রিজিক বাড়াতে কোনো দোয়া বা অজিফা পালন করতে হবে না। বিশ্বনবি ঘোষণা করেছেন দৈনন্দিন জীবনে ওঠা-বসা, চলাফেরায়, দেখা-সাক্ষাতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কিংবা তাদের পারস্পরিক খোঁজ খবর রাখলেই বান্দার রিজিক বেড়ে যাবে এবং বাড়বে নেক হায়াত। 

হাদিস শরিফে এমন কিছু আমলের কথা বলা হয়েছে যে, যার মাধ্যমে মানুষের হায়াত বৃদ্ধি পায়। যেমন, আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি,

مَن سَرَّهُ أنْ يُبْسَطَ له في رِزْقِهِ، أوْ يُنْسَأَ له في أثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ

যে লোক তার রিজিক প্রশস্ত করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। (বুখারি, হাদিস : ৫৫৫৯)

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা, নিজের ভাই-বোন, চাচা-মামা, খালা-ফুফী ও নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা আল্লাহর নির্দেশ। আর তাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলা। তাদের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করা। তাদের সঙ্গে আন্তরিক হওয়া। তাদের প্রতি দয়া-মায়া দেখানোই হলো আত্মীয় সে সুসম্পর্ক। যে ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

তাছাড়া আত্মীয়-স্বজন ও মেহমানরা প্রত্যেকের জন্য আল্লাহ তাআলার রহমত নিয়ে আসে। তাদের প্রতি মনোকষ্ট বা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ কোনোভাবেই ঠিক নয়।

রিজিক ও হায়াত বাড়াতে আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেয়া ও তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা একেবারেই সহজ কাজ। যা পালনে দুনিয়া ও পারকালের কোনো ক্ষতি নেই। বরং দুনিয়ায় রয়েছে যেমন উপকার। আর এ উপকার পরকালেও অবধারিত।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রেখে, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলার মাধ্যমে নিজেদের রিজিকের প্রশস্ততা ও নেক হায়াত বাড়াতে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন। উৎস: নিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়