শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত ◈ রোববার থেকে আবার গাউন পরতে হবে আইনজীবীদের ◈ সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই: ডেপুটি গভর্নর ◈ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি ◈ দেশের জিডিপির পূর্বাভাস কমালো জাতিসংঘ, চিন্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ে ◈ আমি ইন্ডিয়া জোটেই আছি: মমতা  ◈ হিজবুল্লাহ’র হামলায় ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে: গ্যালান্ট ◈ কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০১ মে, ২০২৪, ১২:১৭ দুপুর
আপডেট : ০১ মে, ২০২৪, ১২:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইমাম খোমেনী ছিলেন ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অগ্রনায়ক

রাশিদুল ইসলাম: [২] ইরানের সাবেক স্বৈরশাসক শাহের উৎখাত এবং মরহুম ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ছিল বর্ণবাদী ও সম্প্রসারণকামী ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে বড় আঘাত। বলা যায় তখন থেকেই তাদের বিলুপ্তির কাউন্টডাউন শুরু হয়। পারসটুডে

[৩] ইরানে ইসলামী বিপ্লবের বিজয় মুসলমানদের ইহুদিবাদ বিরোধী সংগ্রামকে তীব্রতর করে এবং ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। শাহের স্বৈরসরকার পশ্চিম এশিয়ার স্পর্শকাতর এই অঞ্চলে পশ্চিমা দেশগুলো ও ইসরায়েলের শক্তিশালী মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিল। শাহের সময়, ইরান ছিল ইসরায়েলি পণ্যের বড় ক্রেতা যার ফলে ইসরায়েল অর্থনৈতিকভাবে প্রচুর লাভবান হতো। অন্যদিকে, শাহ সরকার ইসরায়েলের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সরবরাহ করে অবৈধ ওই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছিল। এতে করে ফিলিস্তিনের বুকে চেপে বসা ইসরায়েলের অর্থনীতি এবং শিল্পখাত দ্রুত গতিতে উন্নতি হতে থাকে। এককথায় ইরান এই অঞ্চলে ইসরায়েলি গুপ্তচরবৃত্তি এবং আরবদের নিয়ন্ত্রণের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল। দখলদার ইসরায়েলের সাথে ইরানের শাহ সরকারের গোপন ও প্রকাশ্য সম্পর্ক সবার সামনে তুলে ধরা এবং মুসলমানদের অভিন্ন এই শত্রুকে শাহ সরকারের নিরবচ্ছিন্ন সাহায্য সহযোগিতার বিরোধিতা করা ছিল ইমাম খোমেনির বিদ্রোহের অন্যতম প্রেরণা।

[৪] তিনি নিজেই এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, যে বিষয়টি আমাদেরকে শাহ সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে তা হচ্ছে, দখলদার ইসরায়েলের প্রতি তার সাহায্য সহযোগিতা। আমি সবসময় বলে আসছি যে, শাহ তার অস্তিত্বের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সহযোগিতা করে আসছে এবং যখন ইসরায়েল ও মুসলমানদের মধ্যে যুদ্ধ চরমে পৌঁছেছে, তখনও শাহ মুসলিম দেশগুলোর তেল সম্পদ সংগ্রহ করে তা ইসরায়েলকে সরবরাহের ব্যবস্থা করতো। শাহের বিরোধিতার পেছনে এটা ছিল অন্যতম কারণ।'

[৫] শাহের উৎখাত এবং ইরানে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ছিল ইসরায়েলের জন্য প্রথম এবং অনেক বড় আঘাত যা কিনা ইসরায়েলের সম্প্রসারণকামী লক্ষ্য বাস্তবায়নকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়।

[৬] বিশ্বজনমতের উপর ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বার্তা এবং এর নেতৃত্বের প্রভাব এতটাই ব্যাপক ছিল যে যখন আনোয়ার সাদাত ইসরায়েলের সাথে আপোশমূলক ক্যাম্প ডেভিড সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, তখন মিশরীয় সরকারকে আরব বিশ্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং মিশর কার্যত এ অঞ্চলে সম্পূর্ণ কোণঠাসা ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।

[৭] বায়তুল মোকাদ্দাস দখলকারী ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় সরকারগুলো ইমাম খোমেনির আন্দোলনের মোকাবিলায় তাদের ব্যর্থতা থেকে যে তিক্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিল তা হচ্ছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবকে ঠেকানো সম্ভব নয়। এ কারণে তারা ইরানের বিরুদ্ধে সবাইকে সংঘবদ্ধ করার চেষ্টা করে। এ লক্ষ্যে তারা তাদের পূর্ব প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে ইরানের ভূখণ্ড দখলের জন্য ইরাকের সাদ্দামকে দিয়ে যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়। দীর্ঘ আট বছরের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে তারা ইরাকের সাদ্দাম সরকারকে সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করেছিল যা কিনা সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছিল।

[৮] ইরান দখল, ইরানকে খণ্ডবিখণ্ড করা, ইসলামী বিপ্লবকে ধ্বংস করা এবং ইসলামী শাসন ব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। অথচ এই বিপ্লব ছিল জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষকে রক্ষার বিপ্লব। ‘আজকে ইরান আগামীকাল ফিলিস্তনকে’ রক্ষার মিশন নিয়ে ইমাম খোমেনী বিপ্লবের মাধ্যমে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন। বিপ্লব রক্ষায় যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠেছিল। কেননা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের দেশগুলো ইরানের ইসলামি বিপ্লবকে ধ্বংস করে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল যাতে মুসলিম জাতিগুলোকে এ ধরনের বিপ্লবী চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়। এ কারণেই তারা সাদ্দামকে দিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। [৯] এ ব্যাপারে ইমাম খোমেনি (র.) বলেছেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, পরাশক্তিগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সাদ্দামকে ধোঁকা দিয়ে ইরান দখলে উস্কানি দেয় যাতে ইরান শক্তিশালী সরকার গঠন করতে না পারে এবং যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর সেই সুযোগ ইসরায়েল যাতে নীল থেকে ফোরাত পর্যন্ত বিশাল অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পায়।’ 

[১০] ইরানে শাহ বিরোধী আন্দোলন যখন চরমে পৌঁছেছিল তখন ইমাম খোমেনী শাহ সরকার ও ইসরাইলের মধ্যে গোপন সম্পর্ক থাকার বিষয়টি ফাঁস করে দিয়েছিলেন। তিনি সমগ্র মুসলিম বিশ্বের জন্য ইসরায়েলের হুমকি মোকাবিলার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের তুলে ধরেছিলেন এবং মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে মূল্যবান দিক নির্দেশনা দেন। সেসময় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইমাম খোমেনি অগ্র নায়ক ছিলেন এবং  তিনি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ, জাকাত প্রদান এবং দাতব্য সংস্থা থেকে সমর্থন করার অনুমতি জারি করেছিলেন। প্রথম থেকেই তিনি নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জাতিকে সংগঠিত করতে এবং তাদের কাছ থেকে ইসলামী জাতির সমর্থন অর্জনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ধর্মীয় দিকের গুরুত্বের বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন। একইসাথে তিনি আরবদের ওপর নির্ভরতা ও জাতীয়তাবাদী চেতনা থেকে বেরিয়ে এসে কিংবা অন্যান্য আমদানিকৃত ও অনৈসলামিক মতাদর্শের ওপর ভিত্তি করে বায়তুল মোকাদ্দাস উদ্ধার কিংবা ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার আন্দোলন সংগ্রামের প্রচণ্ড বিরোধী ছিলেন।

[১১] ইমাম খোমেনি (র.) মুসলিম বিশ্বের অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন। এইসব সমস্যার মধ্যে মুসলিম দেশগুলোর কিছু নেতার দুর্বলতা, অক্ষমতা বা পরনির্ভরশীলতার বিষয়টি রয়েছে। তাই তিনি ধর্মীয় নীতি আদর্শ থেকে প্রেরণা নিয়ে মুসলিম বিশ্বে সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি মুসলিম উম্মাহর সাংস্কৃতিক ও জাতিগত মতপার্থক্য পরিহার করার ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্র প্রধানদেরকে এই ধারা অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সরকারগুলো ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের ইচ্ছা বা দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। তাই জাতিগুলোর উচিত তাদের সরকারের সাথে সেই আচরণ করা যেমনটি ইরানের জনগণ শাহের সাথে করেছে।

[১২] ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধান এবং দখলদার ইসরাইলের মোকাবেলায় ইমাম খোমেনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছিলে। যেমন, আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তেল অস্ত্র ব্যবহার করা: ইমাম খোমেনি (র.) মুসলিম সরকার ও জাতিগুলোর উদ্দেশ্যে দেয়া এক বার্তায় লিখেছিলেন, ‘তেলসমৃদ্ধ মুসলিম দেশগুলোর সরকারের উচিত তাদের কাছে থাকা তেল ও অন্যান্য সম্পদকে ইসরায়েল ও উপনিবেশবাদীদের বিরুদ্ধে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা এবং ইসরায়েলকে সাহায্যকারী সরকারগুলোর কাছেও তেল বিক্রি না করা।’

[১৩] ইসলামী পরিচয় ফিরিয়ে আনার উপর নির্ভর করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা: 'আমরা ইসলামের পথে ফিরে আসা পর্যন্ত, আল্লাহর রসূলের পথে অটল না থাকা পর্যন্ত আমাদের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। এমনকি আমরা ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান বা অন্য জায়গার মুসলমানদের সমস্যারও সমাধান করতে পারব না...' বৃহৎ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মানচিত্র বারবার সবার সামনে তুলে ধরা: ইসরায়েলি পার্লামেন্টের মূল স্লোগান হচ্ছে 'ইসরায়েল, তোমার সীমানা নীল নদ থেকে ফোরাত নদী পর্যন্ত'। অবৈধভাবে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সূচনা লগ্ন থেকেই এই শ্লোগানটি যখন উত্থাপিত হয়েছিল তখন ইসরায়েল ছিল খুবই দুর্বল রাষ্ট্র এবং তাদের জনসংখ্যাও ছিল সামান্য। তাই এটা জানা ছিল যে যখনই তারা ক্ষমতা অর্জন করবে তখনই বৃহৎ ইসরাইল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন তারা বাস্তবায়ন করবে।

[১৪] ইহুদি ও ইহুদিবাদ এক নয়: আমরা জানি যে, ইহুদিবাদ হচ্ছে বর্ণবাদী ও সম্প্রসারণকামী লক্ষ্য বাস্তবায়নের একটি প্লাটফর্ম মাত্র যার সাথে প্রকৃত ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের কোনো সম্পর্ক নেই। ইহুদিবাদীরা ইহুদি ধর্মের ছদ্মবেশে ইহুদি জনগণের ত্রাণকর্তা সেজে তাদের সম্প্রসারণকারী লক্ষ্য  বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এটা কারো কাছে গোপন নয় যে, ইহুদিবাদীরা সরা বিশ্বের ইহুদিদের মধ্যে ঐক্যের কথা বলে এবং কথিত প্রতিশ্রুত ভূমিতে তাদের জায়গা করে দেয়ার কথা বলে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল অব্যাহত রেখেছে এবং এর মাধ্যমে তারা তাদের অপরাধের ন্যায্যতা প্রমাণ করতে চায়। আর এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পাশ্চাত্য কেবল তাদের ঔপনিবেশিক স্বার্থ নিয়েই চিন্তা করে এবং ইসরায়েলকে ব্যবহার করতে চায়। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত থাকার কারণে, ইমাম খোমেনী সবসময় ইহুদি ইস্যুকে ইহুদিবাদ থেকে আলাদা করে তাদের ঘৃণ্য কৌশলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন এবং যারা ইহুদিবাদকে রক্ষা করার কথা বলে তাদের মুখোশ তিনি উন্মোচন করে দেন। তিনি ইহুদিবাদকে একটি অশুভ রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে পরিচয় করিয়েছেন যার সাথে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের কোনো মিল নেই।

ফিলিস্তিন মুক্তির জন্য ঐক্য:

[১৫] ইমাম খোমেনি বিশ্বের ১০০ কোটির বেশি মুসলমানের ওপর স্বল্প সংখ্যক ইহুদিবাদীদের কর্তৃত্বকে মুসলমানদের জন্য বিরাট অপমানজনক হিসাব অভিহিত করে বলেছেন, মুসলিম দেশগুলোর সবকিছু আছে এবং সব ধরনের ক্ষমতা আছে, তাহলে ইসরায়েল কেন সেই অল্প সংখ্যক লোক নিয়ে এসে তাদের ওপর এভাবে কর্তৃত্ব করবে? তাই তিনি ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার জন্য মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

[১৬] ইসরায়েল ও আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল না হতে প্রয়োজন জাতিগুলোর জাগরণ:
ইমাম খোমেনি (র.) বলেছেন, ‘মুসলিমদের হাত গুটিয়ে বসে থাকা উচিত নয় এবং তাদের সরকার তাদের জন্য কাজ করবে ও ইহুদিবাদের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করবে এমন প্রত্যাশাও করা উচিত নয়।  আবার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকেও প্রত্যাশা করা ভুল হবে। তাই জাতিগুলোকে নিজেরাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। তাদেরকে অবশ্যই উঠে দাঁড়াতে হবে এবং তাদের সরকারকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য করতে হবে। কেবল নিন্দা করাই যথেষ্ট নয়। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়