সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ভূমধ্যসাগর থেকে পাম্পের সাহায্যে পানি দিয়ে গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের গোপন সুড়ঙ্গগুলো ডুবিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এ কথা জানায় । সূত্র: আলজাজিরা
[৩] সুড়ঙ্গে পানি ঢোকানোর জন্য শক্তিশালী পাঁচটি পাম্পও স্থাপন করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের ধারণা, পানি দিয়ে ভরে ফেললে সুড়ঙ্গের ভেতরে থাকা হামাসের যোদ্ধারা উপরে ওঠে আসতে বাধ্য হবেন।
[৪] তবে ফিলিস্তিনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মাহমুদ আব্বাসের সরকার ফিলিস্তিনি অথরিটি (পিএ) সতর্কতা দিয়েছে, যদি গাজায় পাম্পের মাধ্যমে সুড়ঙ্গগুলো সমুদ্রের নোনতা পানি দিয়ে ভরা হয় তাহলে এটির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো গাজার ওপর। যুগ যুগ ধরে সেখানকার পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
[৫] তারা বলেছে, এ ছাড়া সুড়ঙ্গে পানি দিলে এগুলোর আশপাশে যেসব ভবন আছে সেগুলো ধসে পড়বে। যার মধ্যে বহু আবাসিক ভবনও রয়েছে। ভবন ধসে সেখানে সাধারণ মানুষের মৃত্যুও ঘটতে পারে। বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি অথরিটি বলেছে, ‘সুড়ঙ্গে পানি প্রবেশ করা হলে সেখানকার মানবিক পরিস্থিতির আরও বিপর্যয় ঘটবে। এছাড়া ভূগর্ভস্থ পানি এবং ময়লা পানির সঙ্গে সমুদ্রের পানির মিশ্রণে উপত্যাকাটির জনগণের স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।’
[৬] ইসরায়েল গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করতে এবং তাদের গোপন সুড়ঙ্গ আছে সেগুলোর সব ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়ে গত গত ৭ অক্টোবর গাজায় নৃশংস হামলা শুরু করে। তবে প্রায় ২ মাস ধরে হামলা চালিয়েও ওই লক্ষ্য এখনো পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি ইসরায়েলের দখলদার সেনারা। এ কারণে এখন সুড়ঙ্গগুলো পানি দিয়ে ডুবিয়ে ফেলতে চাইছে তারা।
[৭] এর আগে ২০১৫ সালে মিসর গাজার সীমান্ত ঘেঁষা সুড়ঙ্গগুলো সমুদ্রের পানি দিয়ে ডুবিয়ে দিয়েছিল। মূলত মিসর থেকে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে গোপনে গাজায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনত হামাস। সম্পাদনা: রাশিদ
এসআই/আর/এইচএ