ইমরুল শাহেদ: [২] আগামী বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে পাকিস্তানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) এই ঘোষণার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার এই মন্তব্য করেছেন। উল্লেখ করার বিষয় হলো তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খান বর্তমানে অ্যাটক কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। সূত্র: জিওটিভি
[৩] বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমরা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিচ্ছি না। বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) যেসব নেতাকর্মী বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত নন, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
[৪] ইমরান খান ছাড়াও পিটিআই দলের কয়েকশত সদস্য কারাগারে আছেন। তিনি বলেছেন, তারা আইনবিরুদ্ধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। এর মধ্যে আছে ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ।
[৫] গত ৯ মে ইমরান খানকে ১৯ কোটি পাউন্ডের একটি সেটেলমেন্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই সারাদেশে ভয়াবহ সহিংসতা চালায় তার দলের শত শত নেতাকর্মী ও সিনিয়র নেতা। এর মধ্যে আছে সামরিক স্থাপনাও। এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। সহিংসতার সময় দুর্বৃত্তরা বেসামরিক স্থাপনা এবং সামরিক স্থাপনাকেও টার্গেট করে। এর মধ্যে রয়েছে রাওয়ালপিণ্ডিতে জিন্নাহ হাউস ও সেনা সদর দফতর। ৯ই মে’কে কালো দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী। জড়িতদের বিচার সেনা আইনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[৬] তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল পিটিআই যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য নির্বাচনে সেনাবাহিনী জালিয়াতি করবে এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার বলেন, আমি মনে করি এই অভিযোগ পুরো উদ্ভট। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন, সেনাবাহিনী নয়। তাছাড়া নির্বাচন মনিটরিং করবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা দেবে সরকার।
[৭] তিনি আরও বলেন, এখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজাকে নিয়োগ দিয়েছেন ইমরান খান। কেন তিনি তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে যাবেন?
[৮] আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কারো বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নিতে যাচ্ছি না। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি পিটিআই চেয়ারম্যান বা তার দলের কোনো রাজনীতিক আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গ করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আদালতের রায়ে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না। সম্পাদনা: রাশিদ