রাশিদুল ইসলাম: রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে শক্তি দেখাতে যাচ্ছে ন্যাটো। ন্যাটোর ২৫টি সদস্য রাষ্ট্রের ১০ হাজার সেনা, আড়াইশ জঙ্গি বিমান নিয়ে এই মহড়া শুরু হবে আগামী সপ্তাহে জার্মানিতে। মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দি এয়ার ডিফেন্ডার টুয়েন্টি থ্রি এক্সারসাইজ।’ এ মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার সেনা ও ১শ জঙ্গি বিমান অংশ নেবে। ডেইলি মেইল
ন্যাটোর সাবেক মহাসচিব অ্যান্ডার্স রাসমুসেন দাবি করেছেন যে কিছু সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর চিন্তা করছে। রাসমুসেন, যিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন এবং এর আগে তার পূর্বসূরি পাইটর পোরোশেঙ্কোর সাথে কাজ করেছেন। তিনি বলেন যে পশ্চিমা গোয়েন্দা-আদান-প্রদান, অস্ত্র হস্তান্তর এবং যৌথ বিষয়ে ন্যাটো নেতারা আগামী মাসে লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে বৈঠকের আগে কিয়েভকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে লিখিত গ্যারান্টি দেওয়া উচিত।
জার্মানিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত অ্যামি গুটম্যান বলেছেনম এই মহড়া এমন একটি অনুশীলন যা চিত্তাকর্ষক হলেও আমরা কাউকে এটি দেখতে বাধ্য করি না। বার্লিনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটি ন্যাটোতে আমাদের মিত্র বাহিনীর তৎপরতা এবং তৎপরতা সন্দেহের ছায়া ছাড়িয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়াশীল হিসাবে শক্তি প্রদর্শন করবে। আমি বেশ অবাক হব যদি কোনো বিশ্বনেতা ন্যাটোর চেতনার পরিপ্রেক্ষিতে যে শক্তি প্রদর্শিত হবে তা না দেখেন তা অর্থ হবে এই জোটের শক্তির দিকে খেয়াল না করা। রাষ্ট্রদূত এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথাও উল্লেখ করেন। ড্রিলটি বেশ কয়েক বছর ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছে। ন্যাটো জাটে যোগ দিতে প্রত্যাশী সুইডেন এবং জাপানও এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
মহড়ার সমন্বয়কারী জার্মান বিমান বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইঙ্গো গেরহার্টজ বলেছেন, আমরা দেখিয়ে দিচ্ছি যে ন্যাটো অঞ্চলটি আমাদের লাল রেখা, আমরা এই অঞ্চলের প্রতিটি সেন্টিমিটার রক্ষা করতে প্রস্তুত। তবে আমরা, কালিনিগ্রাদের দিকে কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করব না। মহড়াটির পরিকল্পনা রক্ষণাত্মক ভাবেই করা হয়েছে। কালিনিগ্রাদ একটি রুশ অঞ্চল যা পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়া বেষ্টিত এবং বাল্টিক সাগরে অবস্থিত।