জেরিন আহমেদ: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এতো উচ্চ তাপমাত্রা আগে কখনে দেখেনি । এবারের তাপমাত্রা এ অঞ্চলে গত ২০০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। অসহনীয় গরমে দুর্ভোগে আছে মানুষ ও পশু-পাখি। সূত্র: সিএনএন
রেকর্ড তাপে বিপর্যস্থ থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের পর্যটন হটস্পটগুলো। পুড়ছে মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া ও লাওসও। উচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
থাইল্যান্ডের ইতিহাসে ১৫ এপ্রিল ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম দিন। তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিবেশী দেশ লাওস মে মাসে টানা দুদিন তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিল ও মে মাস সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উষ্ণতম মাস। মৌসুমি বৃষ্টিপাত এই দু’মাসের তাপমাত্রায় কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসে। কিন্তু এবারের তাপমাত্রা বৃদ্ধি কোন স্বস্তি নিয়ে আসেনি, নিয়ে এসেছে ভয়াবহ বিপর্যয়।
বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশনের (ডব্লিউডব্লিউএ) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, এবারের তাপমাত্রা অঞ্চলটিতে ২০০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে। মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এমন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
জাতিসংঘের হিউম্যান ক্লাইমেট বলছে, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্দ্র তাপ তরঙ্গও বেশি বেশি ঘটতে থাকে। নির্গমন একই হারে বাড়তে থাকলে, পরবর্তী দুই দশকে তাপজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
অধিক তাপমাত্রা হিট স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা ও গর্ভবতী ব্যক্তিদের জন্য জীবন আরও হুমকির হতে পারে। তাপ তরঙ্গের তীব্রতা শুধু স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে না, পরিবেশ ও জীবিকাকেও হুমকির মুখে ফেলে দেয়। তাই তাপের তীব্রতা কমাতে সরকারি পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরী। সম্পাদনা: সাজ্জাদুল ইসলাম
জেএ/জেএ