শিরোনাম
◈ যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়, নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা ◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ ◈ অনিশ্চয়তার মাঝেও পি‌সি‌বি চায় বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে আসুক ◈ এই প্রথম হ‌কি বিশ্বকাপে আম্পায়া‌রিং করবেন  বাংলা‌দে‌শের সে‌লিম ও শাহবাজ  ◈ পারভেজ হত্যায় গ্রেফতার অভিযুক্ত টিনা ◈ রাফালের ধ্বংসাবশেষ সরানোর প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি ভেরিফাই! ◈ যুদ্ধক্ষেত্রের ‘সাইলেন্ট কিলার’ হারোপ ড্রোনের বিশেষত্ব কী? (ভিডিও) ◈ এখানে আরেকটা বেয়াদব আছে, সে শহীদ ফ্যামিলিকে ননসেন্স বলেছে: সংবাদ সম্মেলনেই শহীদ ইয়ামিনের বাবা(ভিডিও) ◈ দুপুরের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি, জানিয়েছেন জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২৩, ০৩:২৬ দুপুর
আপডেট : ০৪ জুন, ২০২৩, ০৩:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বেঁচে যাওয়ারা বললেন, ‘দ্বিতীয় জীবন পেলাম’

হারানো বন্ধুর ছবিসহ আফজাল 

সাজ্জাদুল ইসলাম: ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গেছেন তাদের একজন হলেন মোহাম্মাদ আফজাল। কিন্তু তার দুশ্চিন্তা হচ্ছে তার বন্ধুকে নিয়ে। আফজাল ও সে একই বগিতেই ছিলেন। সূত্র: আল-জাজিরা

আফজাল(১৯) উডিষ্যার এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। এ রাজ্যেই শুক্রবার রাতে তিনটি ট্রেনের ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। এ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ২৯০ জন। আহত হয় এক হাজারেরও বেশি মানুষ। আফজাল তার বন্ধু মোহাম্মাদ মাজহারকে খুঁজছে। একই ট্রেনে উঠেছিল সমবয়েসি দু’বন্ধু।

পার্শ্ববর্তী রাজ্য পশ্চিম বঙ্গের কলকাতার বাসিন্দা মাজহার। তার পরিবারও সেখানে বাস করে। তার শোকাহত মা-বাবা, চাচা-মামা ও খালা-ফুফুরা ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মাজহারকে চারিদিকে তন্নতন্ন করে খুঁজেন।  দুর্ঘটনার পর ২০ ঘন্টা পার হওয়ার পরেও মাজহারের কোন সন্ধান পাননি তারা। সেখানে তখন লাশগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

আফজাল বলেন, ‘আমরা দু’জনে সাধারণ বগিতে উঠি। পুরো বগি ছিল গাদাগাদি করে যাত্রীতে ভরা। বসার কোন জায়গা ছিল না তাই আমরা দাঁড়িয়েছিলাম।’ 

তিনি বলেন, ‘ ট্রেনে উঠার ৩০ মিনিট পর ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। আমরা বুঝতে পারছিলাম যে, আমাদের বগি অন্তত ৩ বার উলোটপালোট খেয়েছে।’

আফজাল যখন বগি থেকে বের হলেন তখন তিনি মাজহারকে খুঁজে পেলেন না। আফজাল বলেন, ‘আমি চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ওকে খুঁজেছি। কিন্তু ওর কোন হদিস পাইনি। ওকে না পাওয়া পর্যন্তু আমি কোন শান্তি পাবো না।’

মাজহারের খালা আমেনা বেগম বলেন, ‘ও বেঁচে আছে, আমরা শুধু এ কথাটুকুই জানতে চাই। খবর পাওয়ার পরই আমরা এখানে চলে এসেছি। একদিন পার হয়ে গেছে। এখনো ওর কোন হদিস আমরা জানতে পারিনি।’

যারা দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন তারা একে দ্বিতীয় জন্ম বলে অভিহিত করেছেন। মনোরঞ্জণ মালিকের (৪২) বাম পা ভেঙ্গে গেছে। দুর্ঘটনার ১২ ঘন্টা পর দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বগি থেকে তাকে টেনে বের করা হয়।

তিনি বলেন, আমি বিরাট আঘাতের শব্দ শুনতে পেলাম। মাথায় প্রচন্ড আঘাত পাই। এরপর কি হলো তা বলতে পারবো না।’ মালিক বলেন, ‘জ্ঞান হারানোর পর অনেক সময় কেটে যায়। আমাকে টেনে বের করার সময় আমার জ্ঞান ফিরে আসে। চোখ খুলে আকাশ দেখতে পাই। তখনো বুঝতে পারি নি আমি কোথায় আছি। আমার মনে হল, আমি দ্বিতীয় জীবন লাভ করেছি।’

ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। মৃত ও জীবিত লোকদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো মরদেহগুলো সনাক্ত করা। আফজালের মতো লোকদের তাদের পরিবার, স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া

এসআই/এসএইচবি/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়