শিরোনাম
◈ নির্বাচনে আসুন, দশ শতাংশ ভোট পান কিনা পরখ করে দেখুন : বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী ◈ ইন্টার মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে স্বপ্নের শিরোপা ম্যানসিটির ◈ শেখ হাসিনার ১৫তম কারামুক্তি দিবস আজ ◈ ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করেও ইভিএমে ভূত-প্রেত পাওয়া যায়নি: সিইসি ◈ মণিপুরে ছিনতাই হওয়া অস্ত্রশস্ত্র জমা দিতে বাক্স বসালেন বিজেপি বিধায়ক ◈ পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাতে ২৮ জনের মৃত্যু, আহত ১৪০  ◈ যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, দক্ষিণ এশিয়ায় নিয়ন্ত্রক হিসেবে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে ভারত  ◈ সন্ত্রাস-নাশকতা, বিশৃঙ্খলা ও হামলায় বিশ্বাস করে না জামায়াত: ড. আব্দুল্লাহ ◈ নোয়াখালীতে মায়ের পাশে শায়িত হলেন সিরাজুল আলম খান ◈ রাণীশংকৈল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২৩, ০৫:১০ বিকাল
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০২৩, ০৩:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আফ্রিকায় সৃষ্টি হচ্ছে নতুন মহাসাগর 

সাজ্জাদুল ইসলাম: আফ্রিকা দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। তার মাঝে তৈরি হচ্ছে একটি নতুন মহাসাগর। দূরবর্তী ভবিষ্যতে এ মহাসাগর সৃষ্টি হচ্ছে। ফাটল থেকে তৈরি হবে এ মহাসাগর। বিজ্ঞানীরা একথা জানান। ইকনোমিক টাইমস

লীডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টোরাল শিক্ষার্থী ক্রিস্টোফার মুর বলেন, ‘কিভাবে একটি মহাদেশীয় ফাটল একটি মহাসাগরীয় ফাটলে রূপ তা আপনি কেবল এ মহাদেশেই গবেষনা করার সুযোগ পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মহাসাগরীয় কিভাবে সৃষ্টি হয় তা আমরা এখানে দেখতে পাবো। যা গঠন ও ঘনত্বের দিক থেকে মহাদেশী ভূ-ত্বক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।’

ইথিওপিয়ার মরুভূমিতে এ ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এ ফাটল থেকে সৃষ্ট  নতুন মহাসাগরের সম্ভবত তীরবর্তী দেশ হবে কেনিয়া ও উগান্ডা। পূর্ব আফ্রিকান ফাটল নামে পরিচিত ৩৫ মাইল দীর্ঘ ফাটলের সৃষ্টি হয় ২০০৫ সালে। তবে এ ফাটল থেকে পূর্ণাঙ্গ মহাসাগর তৈরি হতে প্রায় ৫০ লাখ ও ১ কোটি বছর লাগতে পারে। গবেষকরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।  
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মেরিন জিওফিজিসিস্ট ও এমিরেটাস প্রফেসর কেন ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘আফার অঞ্চলে পূর্ব আফ্রিকান ফাটল উপত্যাকার সঙ্গে এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগর একাকার হয়ে তৈরি হবে নতুন মহাসাগর। আর পূর্ব আফ্রিকার একাংশ নিয়ে গড়ে উঠবে একটি ছোট নতুন মহাদেশ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জিপিএসএর যত বেশি পরিমাপ করছি ততই আমরা কি ঘটতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে আরো বেশি করে উপলব্ধি করতে পারছি।’

ইকনোমিক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী এ ফাটলের কারণ অজ্ঞাত। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, তাদের ধারণা সাগরের তলদেশে যে ধরণের  টেক্টোনিক প্রক্রিয়া চলে ঠিক অনুরূপভাবে এ ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ফাটল স্থানগুলো তিনটি টেক্টোনিক প্লেটের সীমান্তে অবস্থিত। প্লেট তিনটি হলো সোমালিয়ান টেক্টোনিক প্লেট, নুবিয়ান টেক্টোনিক প্লেট ও অ্যারাবিয়ান টেক্টোনিক প্লেট। প্রতি বছর এ ফাটল কয়েক মিলিমিটার করে বাড়ছে।

নিউ অরলিন্সএর  তুলেন ইউনিভার্সিটির ভূপদার্থবিদ সিন্থিয়া এবিনগার বলেন, যে এলাকাটিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে সেটি বিশ্বের সবচাইতে উত্তপ্ত অঞ্চল। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করে। বিশ্বের সবচাইতে উত্তপ্ত বসতি অঞ্চল হলো আফার। সেখানে দিনের বেলা তাপমাত্রা থাকে সাধারণত ১৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইট আর রাতে কমে ৯৫ ফারেনহাইটে নেমে আসে।

এসআই/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়