সাজ্জাদুল ইসলাম: পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে পেনশনের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার এ সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি দেশটির সাধারণ মানুষ। এছাড়া দেশটির আইনপ্রণেতারারও এ নিয়ে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন । ম্যাক্রোঁর সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ফ্রান্স জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটের আয়োজন করা হলো। পলিটিকো
গত সপ্তাহে সরকার ব্যাপক অজনপ্রিয় অবসর সংস্কার বিল অনুমোদন করে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। আজ সোমবার ম্যাক্রোঁ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হবে। তবে সরকারের পতন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারপরও অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি সরকারের জন্য বিব্রতকর। এতে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিতে পারে।
বিলটির প্রতিবাদে শনিবার প্যারিসে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিলে পুলিশ শতাধিক লোককে গ্রেপ্তার করে। ফ্রান্সের পার্লামেন্টের সদস্য সংখ্যা ৫৭৩। আজ তার দু’টি অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেবে। এতে ম্যাক্রোঁর প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্নে ও তার সরকারের পদত্যাগ করতে হতে পারে।
মধ্যপন্থী দল লিখঁ প্রথম অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দেয়। এতে সমর্থন জানায় উগ্রডানপন্থী নুপেস জোট। এর কয়েক ঘণ্টা পর অপর উগ্রডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি পার্টি আরেকটি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দেয়। পার্লামেন্টে এ দলটির ৮৮টি আসন রয়েছে।
গত বছর নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ম্যাক্রোঁর দল। তবে তা সত্ত্বেও একাধিক দলের প্রস্তাবিত এ অনাস্থা ভোট হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ এটি করতে ডানপন্থী, বামপন্থী ও মধ্যপন্থীসহ সব দলের এক জোট হতে হবে।
এসআই/এসএ