শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১৯ মার্চ, ২০২৩, ০৭:৫৩ সকাল
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২৩, ১১:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কিছু বিচারপতি ‘ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীর’ অংশ, দিল্লিতে বিস্ফোরক মন্তব্য ভারতের আইনমন্ত্রীর

রাশিদুল ইসলাম: কয়েকজন প্রাক্তন বিচারপতি বিরোধী দলের মত কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজিজু। ফের বিচার বিভাগের সঙ্গে সংঘাত মোদি সরকারের। সাম্প্রতিক অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারও সরকারের হয়ে সংঘাতের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তার অভিযোগ, কয়েকজন বিচারপতি ‘ভারত-বিরোধী গোষ্ঠী’র সদস্য। আর তারা বিচার বিভাগকে সরকারকে বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

শনিবার এই প্রসঙ্গে রিজিজু বলেন, ‘সম্প্রতি বিচারপতিদের দায়বদ্ধতা নিয়ে এক সেমিনার হয়েছে। কিন্তু, নির্বাহী বিভাগ কীভাবে বিচার বিভাগের ওপর প্রভাব ফেলছে, কোনওভাবে তা সেই সেমিনার হয়ে গেল। কিছু বিচারপতি আছেন, যাঁরা আন্দোলনের কর্মী আর ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্য। এই ভারত-বিরোধী গোষ্ঠী বিরোধী দলগুলোর মতই বিচার বিভাগকে সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে।’

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর কথায়, ‘কিছু লোক সুপ্রিম কোর্টে যায় আর বলে সরকারকে লাগাম দিন। এটা চলতে পারে না। বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ এবং বিচারপতিরা কোনও দল বা রাজনৈতিক সংগঠনের অংশ নন। এই লোকেরা কীভাবে খোলাখুলি ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যেতে বলতে পারে?’

দিল্লির এক অনুষ্ঠানে এই সব বক্তব্য রাখার পাশাপাশি, রাহুল গান্ধীকেও একহাত নেন রিজিজু। তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধী বা কেউ যদি বলেন যে ভারতের বিচার বিভাগকে অপহরণ করা হয়েছে। অথবা, দেশে গণতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে, বিচার বিভাগ মৃত, তার মানে কী? ভারতীয় বিচার বিভাগকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। সেই কারণেই তারা বলছে যে, সরকার ভারতীয় বিচার বিভাগকে দখল করার চেষ্টা করছে।’

এরপরই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ২ মার্চের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিজিজু জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাংবিধানিক লক্ষ্ণণরেখা রয়েছে। বিচারকরা যদি প্রশাসনিক নিয়োগের অংশ হন, তবে বিচারের কাজ কারা পরিচালনা করবে? নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়টি সংবিধানে উল্লেখ আছে। সংসদকে আইন করতে হবে। সে অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে। আমি মানছি যে, সংসদে এটির জন্য কোনও আইন নেই, একটি শূন্যতা আছে। কিন্তু আমি যা বলছি তা হল, ভারতের প্রধান বিচারপতি বা বিচারপতিরা যদি প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের দায়িত্ব নেন, তাহলে বিচার বিভাগের কাজ কে এগিয়ে নিয়ে যাবে?’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়