মিহিমা আফরোজ: শীতকালীন ছুটির পর খুলেছে আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ছেলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে গেলেও তালেবানদের অনুমতি পায়নি নারীরা। এএফপি
২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে নারীদের উচ্চশিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তালেবানদের এমন পদক্ষেপে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশের রাহেলা জানান, আমরা বাড়িতে থাকলেও ছেলেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া দেখে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। এটি নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ। ইসলাম আমাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। তাই আমাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে কারো বাধা দেওয়া উচিত নয়।
আফগানিস্তানের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ এবং শ্রেণী কক্ষ চালু করা হয়েছে। সেইসাথে দেশটিতে নারী শিক্ষার্থীদের কেবলমাত্র মহিলা অধ্যাপক বা বয়স্ক পুরুষদের মাধ্যমে পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তালেবানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, নারী শিক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ী। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও তারা মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ফের খুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পেছনে তাদের অজুহাত হলো অর্থের অভাব এবং ইসলামের বিধান অনুযায়ী সিলেবাস পুনরায় সাজানোর জন্য আরো সময় প্রয়োজন। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তালেবান কর্তৃপক্ষ নারীদের জনজীবন কুণ্ঠিত করে ফেলেছে।
এমএ/এসএ