ইমরুল শাহেদ: গত ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নেপালের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে তারুণ্যের জয়-জয়কার পরিলক্ষিত হচ্ছে। নেপালি রাজনীতিতে প্রবীণদের সামনে নতুনরা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে বলে গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হচ্ছে। নির্বাচনে বেশির ভাগ তরুণ বিজয়ী হয়েছে এবং অনেক তরুণ উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়েছে। দীর্ঘ সময় থেকে জনপ্রিয়তা নিয়ে যেসব প্রবীণ নেতারা আসন আঁকড়ে আছেন নতুনদের উত্থানে হোঁচট খেয়েছেন। আল-জাজিরা
নবগঠিত ন্যাশনাল ইন্ডিপেনডেন্স পার্টির (এনআইপি) প্রার্থী শ্রেষ্ঠ তরুণ বিজয়ীদের একজন। তিনি কাঠমুন্ডু ৮ আসন থেকে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শ্রেষ্ঠ বলেন, ‘আমি আমার কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট। আমি শিল্প ভালোবাসি, গান করি, আমি ছিলাম একজন তরুণ পর্যক উদ্যোক্তা এবং ভ্রমণ করা আমার শখ।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে শ্রদ্ধা করতে শিখেছি। আমি যখন নিজের পায়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছি, আমি আমার কাজের প্রতি দেশের কোনো শ্রদ্ধা নেই। সকল পেশার মানুষের প্রতি দেশের শ্রদ্ধা থাকবে এবং তাদের মর্যাদা দেবে ও তাদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।’
শ্রেষ্ঠর মতো বাকপটু আইনজীবী ও সাংবাদিক ২৭ বছর বয়সী সবিতা গৌতমও কাঠমুন্ডু ২ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনটি সব সময়ই প্রবীণ রাজনীতিবিদদের দখলে ছিল।
সবিতা গৌতম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘পার্লামেন্টে তরুণ প্রতিনিধি হিসেবে আমরা ভিন্ন ধরনের কথাই বলব। অতীতে আমরা গৎবাধা রাজনৈতিক পুরনো কথাই শুনেছি। এসব প্রবীণ রাজনীতিবিদরা সমকালীন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের ক্ষেত্রে শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ, যা আমাদের ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। আমরা রাজনীতিকে দিক পরিবর্তন করে নতুন পথে নিয়ে যেতে পারি।’
নেপাল নির্বাচনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা থেকে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন অনেকে। এ শ্রেণী-পেশার মধ্যে ডাক্তার থেকে সাংবাদিক পর্যন্ত আছেন। এবার নির্বাচন কমিশনে নতুন সাতটি দল নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি দল ভালো করেছে।
আইএস/এএ