ডেস্ক রিপোর্ট: ৬০ বছর বয়সী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি বেলারুশের একজন মানবাধিকারকর্মী। এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতাপশালী শাসক আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাজ করে আসছেন বিয়ালিয়াৎস্কি। সমকাল, নিউজ২৪
বেলারুশের এই মানবাধিকারকর্মীর পাশাপাশি অবশ্য এ বছর রাশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিসও শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হতে যাচ্ছে।
বর্তমানে তিনি বেলারুশের বিচারপূর্ববর্তী বন্দিদশায় আছেন। ১৯৯৬ সালে বেলারুশে মানবাধিকার সংগঠন ভায়াসনা’ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠা করেন অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি। ভায়াসনা শব্দের অর্থ বসন্ত। বেলারুশের রাজপথে বিক্ষোভকারীদের ওপর দেশটির কর্তৃত্ববাদী নেতা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর নৃশংস দমন-পীড়নের প্রতিক্রিয়ায় মানবাধিকার সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিল অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কির মানবাধিকার সংগঠন ভায়াসনা।
এর আগে কর ফাঁকির মামলায় ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জেল খাটেন অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি। পরে ২০২০ সালে লুকাশেঙ্কোবিরোধী বিক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করলে অ্যালেসকে ফের আটক করা হয়। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ার বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসন বলেন, ‘মানবাধিকারের প্রশ্নে এক ইঞ্চি ছাড় দেননি তিনি (অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি)।’
বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি, রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজকে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেসময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।
এসকেএ/এন২৪/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :