ইমরুল শাহেদ: প্রতিরোধ যোদ্ধারা সক্রিয় থাকায় মিয়ানমারের সামরিক সরকার বেশ চাপের মুখে আছে। দেশটির সেনাবাহিনী স্থল যুদ্ধে কুলিয়ে উঠতে পারছে না প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে। কোথাও কোথাও সেনাবাহিনী বিমান ও হেলিকপ্টার হামলার সহায়তা নিতে হচ্ছে। আবার ক্ষেপনাস্ত্র হামলাও সরকারি বাহিনী অব্যাহত রেখেছে। গত কয়েকদিনের স্থল সরকারি বাহিনী প্রায় শ’য়ের মতো সেনা সদস্য হারিয়েছে। রাজধানী নেপিদোতেও হামলা বাড়িয়েছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে গত দুইদিনে একজন মেজরসহ ৪০ জান্তা সদস্য বা সরকারি সেনা নিহত হয়েছে। সোমবার পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এবং সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সাগাইং, মান্দালয়, তানিনথারাই এবং কারেন ও মন রাজ্যে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ইরাবতির অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার দেশটির সামরিক জান্তার ছিনিয়ে নেওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে গত আড়াই দিনে আয় করেছে নয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটির চলমান সশস্ত্র আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ঐক্য সরকারের পরিকল্পনা, অর্থ এবং বিনিয়োগ মন্ত্রণালয় ‘স্প্রিং মান্দালয় ইনভেস্টমেন্ট’-এর আওতায় এই অর্থ সংগ্রহ করেছে। এই প্রকল্পটি ১ অক্টোবর থেকে ইয়ানগুনে শুরু করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মান্দালয় পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনীর অবৈধভাবে বাজেয়াপ্ত করা ৯৮০টি প্লট বিক্রি করে দিয়েছে। সোমবার সকালেই বিক্রি হয়েছে ৫৭৯টি প্লট। এতে ঐক্য সরকারের আয় হয়েছে ৯.৩ মিলিয়ন ডলার। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি শুরু করার আগেই ঐক্য সরকার ৩০০ প্লটের আগাম বুকিং পেয়েছে।
মন্ত্রণালয় ফেসবুক পেইজের এক স্ট্যাটাসে লিখেছে, ‘আন্দোলন নিয়ে জনগণের বিশ্বাস, তাদের দৃঢ়তা এবং স্বত:স্ফূর্ততা সত্যিই বিস্ময়কর।’ মন্ত্রণালয় আশা করছে শুধু জমি বিক্রি থেকেই তারা আয় করতে পারবে ২৪ মিলিয়ন ডলার।
মন্ত্রণালয় থেকে জনগণকে এভাবে সহায়তা অব্যাহত রাখার আহবান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, স্বৈর সরকার স্কুল, শিশুসহ কাউকে রেহাই দেবে না। আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের নির্যাতনের পরিসমাপ্তি ঘটবে।