শিরোনাম
◈ বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-১ গো‌লে হারা‌লো আ‌র্সেনাল ◈ তারেক রহমান এখনও ভোটার নন, ডিসেম্বরে দেশে এসেই ভোটার হবেন: দলীয় সূত্র ◈ ফিফা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত কর‌লো, বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলতে পারবেন রোনালদো ◈ কেন বিবিসির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মানহানি মামলা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে ◈ পূর্বাচল প্লট মামলায় শেখ হাসিনা পরিবারের ভাগ্য নির্ধারণ আজ ◈ এনসিপিসহ চার দলের নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ বৃহস্পতিবার ◈ যেসব স্বর্ণ মিলল শেখ হাসিনার লকারে, দেখুন ছবিতে ◈ একই দিনে নির্বাচন–গণভোট: জানুন সরকারের দেওয়া ৮ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ◈ আর্থিক দুরবস্থায় একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকে বেতন–ভাতা কমছে ◈ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ ডিম উৎপাদিত হচ্ছে

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:৪০ সকাল
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একাধিক বিয়ে নিষিদ্ধ করলো আসাম, শাস্তি হিসেবে ৭ থেকে ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান

ভারতের আসাম রাজ্য বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করতে আনুষ্ঠানিকভাবে আইন প্রণয়নের পথে এগোচ্ছে।

মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় এ বিষয়ে একটি বিল উপস্থাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। প্রস্তাবিত আইনে বহুবিবাহকে সরাসরি অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, প্রথম স্ত্রী বা স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় তার সম্মতি নিয়ে পুনরায় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে। তবে কেউ যদি প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় দাম্পত্যে আবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেন, সেই ক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ বেড়ে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।

‘আসাম বহুবিবাহ নিষিদ্ধকরণ বিল, ২০২৫’ মঙ্গলবার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারির অনুমতিক্রমে পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পী জুবিন গার্গের মৃত্যু নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধী দল কংগ্রেস, সিপিএম ও রাইজোর বিধায়কেরা ওয়াকআউট করায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিল উপস্থাপন করা হয়।

প্রস্তাবিত আইনটি ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত এলাকা ছাড়া আসামজুড়ে কার্যকর হবে। তবে সংবিধানের ৩৪২ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত তফসিলি জাতি ও জনজাতির সদস্যদের এই আইন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। গত কয়েক মাস ধরে বহুগামিতা নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আসাম সরকারের আলোচনায় ছিল।

সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, “যাদের স্ত্রী বা স্বামী জীবিত এবং আইনগতভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি, তারা আরেকটি বিয়ে করতে পারবেন না।”

বিলটির লক্ষ্য—রাজ্যে বহুবিবাহের প্রচলন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা। নতুন আইনে বহুবিবাহকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকছে। আর বিয়ের তথ্য গোপন করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাগারে থাকার শাস্তি প্রযোজ্য হবে, সাথে থাকবে জরিমানাও।

এছাড়া পুরো বিবাহ প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত থাকবেন—কাজী, পুরোহিত, গ্রামপ্রধান, পিতামাতা বা আইনগত অভিভাবক—তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও বিলে অন্তর্ভুক্ত আছে।

বিল অনুযায়ী, কেউ যদি একই অপরাধ বারবার করেন, প্রতিটি ঘটনায় নির্ধারিত শাস্তির দ্বিগুণ দণ্ড দেওয়া হবে। পাশাপাশি বহুবিবাহে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা কোনো সরকারি চাকরি, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা, কিংবা পঞ্চায়েত বা পৌরসভার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ হারাবেন।

সূত্র: জনকণ্ঠ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়