শিরোনাম
◈ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন ◈ কল‌ম্বিয়ায় ফুটবল ম্যাচে ভয়াবহ সহিংসতা, আহত ৫৯ ◈ সন্ত্রাসীর গু‌লি‌তে নিহত ওসমান হাদির জন‌্য বিসিবি-বাফুফের শোক ◈ সিসিইউতে বেগম জিয়া: বিশেষ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, জানালেন ডা. জাহিদ ◈ দেশে পৌঁছেছে ওসমান হাদির মরদেহ, যে নির্দেশনা দিলো ইনকিলাব মঞ্চ ◈ সাংবাদিকদের পাশে থাকার আশ্বাস সরকারের, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ঘোষণা ◈ ছায়ানট ভবনে তাণ্ডব: কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা (ভিডিও) ◈ প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ ◈ শরিফ ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ ◈ বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা, দূতাবাসগুলোর সামনে পুলিশ ও সেনা মোতায়েন

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৩৮ দুপুর
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পর্তুগালে জনসমক্ষে বোরকা-নিকাব পরা নিষিদ্ধের বিল পাস, মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করেই আইন: সমালোচকদের অভিযোগ

ডানপন্থী চেগা দলের প্রস্তাবিত এই বিল অনুযায়ী, নারীরা জনসমক্ষে বোরকা (যা মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীর ঢেকে রাখে) বা নিকাব (যা পুরো মুখ ঢেকে রাখে, কেবল চোখের চারপাশ খোলা থাকে) পরতে পারবেন না। তবে বিমানে, কূটনৈতিক স্থাপনা এবং উপাসনালয়ে এই ধরনের পোশাক পরার অনুমতি থাকবে। 

পর্তুগালের পার্লামেন্ট নারীদের ধর্মীয় বা লিঙ্গগত কারণে মুখ ঢাকার পর্দা পরা নিষিদ্ধ করার একটি বিতর্কিত বিল অনুমোদন করেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপটি মূলত মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করে নেয়া হয়েছে, যারা বোরকা বা নিকাব পরেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। 

বিল অনুযায়ী, জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখলে ২০০ থেকে ৪,০০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। বিলটি কার্যকর হতে হলে এখনো প্রেসিডেন্ট মারসেলো রেবেলো দে সুসা’র অনুমোদন প্রয়োজন। তিনি চাইলে এতে ভেটো দিতে পারেন, অথবা সাংবিধানিক আদালতে পাঠাতে পারেন।

যদি এটি আইনে পরিণত হয়, তাহলে পর্তুগাল যোগ দেবে ইউরোপের সেই দেশগুলোর তালিকায়- যেমন ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডস। এসব দেশে আংশিক বা পূর্ণভাবে মুখ ঢাকার পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও পর্তুগালে খুব অল্প সংখ্যক নারী বোরকা বা নিকাব পরেন, তবুও ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো এখানেও ইসলামি পর্দা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। 

চেগা দল ফ্রান্স ও অন্যান্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশের দৃষ্টান্ত টেনে বলেছে, মুখ ঢেকে রাখা ‘নারীদের সামাজিক বঞ্চনা ও অধীনতার প্রতীক’ এবং এটি ‘স্বাধীনতা, সাম্য ও মানব মর্যাদা’র মতো নীতির পরিপন্থী। ডানপন্থী কিছু দল এই বিলকে সমর্থন করেছে, তবে বামঘেঁষা দলগুলো তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। মধ্যপন্থি বাম সোশ্যালিস্ট পার্টির সংসদ সদস্য পেদ্রো দেলগাদো আলভেস বলেন, এ উদ্যোগের লক্ষ্য বিদেশিরা এবং ভিন্ন ধর্মবিশ্বাসীরা। কোনো নারীকে জোর করে পর্দা পরানো ঠিক নয়। তবে ডানপন্থী দলের এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভুল। তিনি আরও বলেন, এটি মানবাধিকারের প্রশ্ন নয়, বরং এটি বিভাজন ও বৈষম্য তৈরির একটি রাজনৈতিক কৌশল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়