রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাকে ইরানের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। বার্তাটি হলো, তেল আবিব আর তেহরানের সাথে উত্তেজনা বাড়াতে আগ্রহী নয়। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটনিউজ এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তাজিকিস্তান সফরকালে পুতিন রুশ সংবাদ সংস্থা তাসকে বলেন, ‘আমরা ইসরাইলের সাথে আস্থার সাথে যোগাযোগ বজায় রেখেছি।
সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে ফোনালাপের সময় আমাকে আমাদের ইরানি বন্ধুদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয় যে, ইসরাইল একটি মীমাংসার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো ধরণের সংঘর্ষে আগ্রহী নয়।’
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, গত সোমবার (৬ অক্টোবর) নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন পুতিন। ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তারা। গত জুলাইয়ের পর থেকে এটা ছিল তাদের মধ্যে তৃতীয় ফোনালাপ।
ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে- এমন অভিযোগে চলতি বছরের ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল, যার ফলে ইরানের সেনাবাহিনীর অনেক সিনিয়র কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক নিহত হন।
ইরান ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা করে এবং এরপর ট্রু প্রমিজ থ্রি নামে ধারাবাহিক প্রতিশোধমূলক অভিযান চালায়। ১২ দিনের তীব্র সংঘাতের পর ২৪ জুন উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। সংঘাতে ইসরাইলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যা যুদ্ধের সময় প্রকাশ না পেলেও এখন ক্রমেই সামনে আসছে।
কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই না হওয়ায় ইরানি কর্মকর্তা মনে করছেন, যেকোনো মূহূর্তে নতুন লড়াই শুরু হতে পারে। তার জন্য আগাম প্রস্তুতিও নিচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ক্ষেপণাস্ত্র পাল্লার ‘সব সীমা’ তুলে নিয়েছেন বলে ইরান ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এটি কার্যকর হয়ে থাকলে, তা গত জুনের ভয়াবহ সংঘাতের পর তেহরানের প্রতিরক্ষা অবস্থানে সম্ভাব্য বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।