পার্সটুডে- ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় মানবাধিকার ওয়াচ জানিয়েছে যে গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী সরকারের আক্রমণের ফলে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহায়তায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে; তাদের অপরাধযজ্ঞের মধ্যে রয়েছে হত্যা, দুর্ভিক্ষ, ধ্বংস এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের হুঁশিয়ারি এবং গণহত্যা বন্ধে নির্দেশ সত্ত্বেও ইসরায়েল তাদের এ কাজ অব্যাহত রেখছে। ইরনার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় মানবাধিকার ওয়াচ এক বিবৃতিতে যোগ করেছে যে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগের তুলনায় গত ২২ মাস ধরে চলমান গণহত্যার ঘটনায় গাজা উপত্যকায় প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ঘোষণা করেছে যে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধের কারেণ প্রতিদিন ৩০ জন ফিলিস্তিনি স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে পঙ্গু হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে গাজার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ১,৬৫,০০০ জন আহত হয়েছে যার মধ্যে স্থায়ী এবং অস্থায়ী প্রতিবন্ধী হয়েছে ২১,০০০ জন।
এছাড়াও, দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযানের পর সেনাবাহিনী কয়েক ডজন প্রতিবন্ধী ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে এবং তাদের অনুপযুক্ত পরিবেশে রেখেছে, সেখানে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা কেউ জানে না।
ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় মানবাধিকার সংস্থা অনুসারে, ইসরায়েলি বাহিনী আবাসিক এলাকায় অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করছে, যার ফলে আহতদের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে গাজার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অবকাঠামোর উপর ইসরায়েলি হামলা এবং আহতদের স্থানান্তরে বাধা দেয়ার কারণে চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছতে না পারায় অঙ্গচ্ছেদের ঝুঁকি বেড়েছে।
ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়েছে: গাজা উপত্যকায় প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণের মধ্যে সময়মত চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার ঘটনা রয়েছে।