শিরোনাম
◈ সালথায় মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে যুবককে কুপিয়ে পায়ের পাঁচ আঙুল বিচ্ছিন্ন ◈ ইভ্যালির রাসেলকে ধরিয়ে দিতে নগদ পুরস্কারের ঘোষণা, রাজধানীজুড়ে পোস্টার ◈ শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকোনমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ ৬ সেপ্টেম্বর সব নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ◈ নাটোরে গাঁজা জব্দে গরমিল: ২৮ কেজি উদ্ধারের পর থানায় জমা মাত্র ৭ কেজি! উদ্ধারকারী এসআই ক্লোজড্ ◈ হা‌সিনা পা‌লি‌য়ে যাবার পর আ‌ন্দোল‌নের কৃ‌তিত্ব নি‌য়ে লড়াই চল‌ছে:  আমীর খসরু ◈ পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের জন্য নতুন নিয়ম চালু ◈ ডাকসু নির্বাচন : যাকে ভোট দিতে বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কক্সবাজারে ◈ লটারিতে নয়, প্রক্রিয়াতেই ডিসি নিয়োগ হবে: জনপ্রশাসন সচিব

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৫, ১২:২৩ রাত
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত!

খনিজ সম্পদের বিশাল ভাণ্ডারকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে মরিয়া তালেবান সরকার। আফগানিস্তানে থাকা এক ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের লোহা, তামা, লিথিয়াম ও ইউরেনিয়ামের মজুদকে ঘিরে ইতোমধ্যেই বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ বাড়িয়েছে কাবুল প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (USGS) তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশে রয়েছে অন্তত ১,৪০০টি খনিজ মজুদ স্থান। যেখানে কেবল আকরিক লোহার মজুদই ২ বিলিয়ন মেট্রিক টনের বেশি। লোগার প্রদেশে পাওয়া গেছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন তামা, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এছাড়াও দেশে রয়েছে লিথিয়াম, ইউরেনিয়াম ও ৪৭টি তেলকূপ। এই বিপুল সম্পদ কাজে লাগিয়ে এরইমধ্যে তালিবান সরকার প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। পাশাপাশি ৭ বিলিয়নের বেশি সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে, যার মাধ্যমে দেড় লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

এই খাতে সবচেয়ে সক্রিয় বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও ভারত। চীন এরই মধ্যে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ২৫ বছরের জন্য তেল উত্তোলন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। রয়েছে বড় আকারের তামা খনি প্রকল্পও। ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চলছে তামা, লোহা ও ইউরেনিয়াম উত্তোলন নিয়ে। রাশিয়া সহায়তা দিচ্ছে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে, আর ইরান যুক্ত রয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে।

বিশ্লেষকদের মতে, তালেবান সরকার শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নয়, বরং নিজেদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহার করছে এই মূল্যবান খনিজ সম্পদগুলোকে। রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার মধ্যে থেকেও কাবুল সরকার এখন খনিজ সম্পদের মাধ্যমে বৈদেশিক মিত্র তৈরি ও কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তারে মনোযোগী।

বিশ্বরাজনীতির পটভূমিতে আফগানিস্তানের এই কৌশল কতটা সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে, তবে এক ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজ ভাণ্ডারকে ঘিরে আন্তর্জাতিক আগ্রহ এখন তুঙ্গে। সূত্র: চ্যানেল২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়