ইসরায়েলের পর এবার ইরানও যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরান তার ভূখণ্ডে আক্রমণের আনুপাতিক এবং সময়োপযোগী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী ‘শত্রুদের নিষ্ঠুরতার প্রতি অপমানজনক এবং দৃষ্টান্তমূলক জবাব’ দিয়েছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর অবিচল প্রতিরক্ষা শত্রুকে অনুশোচনা বোধ করতে, পরাজয় মেনে নিতে এবং একতরফাভাবে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ‘দখলদার ইহুদি ও তার জঘন্য সমর্থকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধের জাতীয় সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে।
তবে শত্রুদের কথায় আস্থা না রেখে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় ও সময়োপযোগী জবাব দিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে ইরানের নিরাপত্তা কাউন্সিল।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসরায়েল সরকার। ইরানে চালানো হামলায় লক্ষ্য অর্জিত হওয়ায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হলে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পর তাদের সেনাবাহিনী দাবি করে, তারা ইরান থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। তবে ইরান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সরকার বিনা উসকানিতে ইরানে হামলা শুরু করে। দেশটি ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকসহ শত শত ইরানি নিহত হয়েছে।
এর পরপরই ইরানের সামরিক বাহিনী পাল্টা হামলা শুরু করে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী কর্পসের বিমানবাহিনী ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’র অংশ হিসেবে ইসরায়েলে ২১ বার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় বিমান ও মিসাইল হামলা চালায়। তার পাল্টা জবাবে, সোমবার (২৩ জুন) রাতে কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এরপরই যুদ্ধবিরতির চেষ্টা শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।