ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরাইল ইরানে হামলা চালানোর আগে তিনি তা জানতেন।
ফক্স নিউজ তিনি জোর দিয়ে বলেন, তেহরানকে ‘পারমাণবিক বোমা রাখতে দেয়া যাবে না।’
ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান কোনোভাবেই পারমাণবিক বোমা পেতে পারে না। আমরা আবারো আলোচনার টেবিলে ফিরতে চাই। দেখা যাক কী হয়।’
তবে এর আগে ইরানে ইসরাইল হামলা চালানোর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে তিনি দাবি করেছেন, এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি বলেন, ‘আজ রাতে ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসরাইল আমাদের জানিয়েছে যে তারা আত্মরক্ষার্থে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন ইতোমধ্যে আমাদের সেনাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি, আমরা আমাদের আঞ্চলিক মিত্রদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছি।’
তেল আবিবের বিমান হামলার জবাবে গত কয়েক ঘণ্টায় সেখানে শতাধিক ড্রোন নিক্ষেপ করেছে তেহরান।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন বলেছেন, ইরান ‘ইসরাইলি ভূখণ্ডের দিকে প্রায় ১০০টি ইউএভি’ নিক্ষেপ করেছে। তিনি বলেছেন, তারা সেগুলো আটকানোর জন্য কাজ করছে।
ডিফ্রিন আরো বলেন, গত রাতের হামলায় ইরানি সেনাবাহিনীর প্রধান, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) কমান্ডার এবং ইরানের জরুরি কমান্ডের কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও এর আগে জানিয়েছে, বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন।
ইরানে হামলার পরপরই নিজ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরাইলি সরকার। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই ইসরাইলের ওপর পাল্টা হামলা’ চালাতে পারে ইরান।
ইরানের ওপর যখন হামলা চালানো হয় ইসরাইলের মানুষ তখন ঘুমাচ্ছিলেন। জেরুসালেমে অবস্থানরত বিবিসির এক সংবাদদাতা জানান, সাইরেনের বিকট শব্দে এবং মোবাইলে জরুরি সতর্কবার্তা পেয়ে তারা জেগে ওঠেন।
এদিকে ইরানের রাষ্টীয় বার্তাসংস্থা ইরনা জানায়, শুক্রবার রাত থেকে ইসরাইলি সরকার ইরানের রাজধানী তেহরানের আশপাশে ও অন্যান্য শহরে সামরিক হামলা শুরু করে। হামলায় রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সাংবাদিকরা জানান, তারা নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুদের লাশ দেখতে পেয়েছেন।