ভারতের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ২৪১ জন। শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিষ্ণু কুমার রমেশের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান তিনি। খবর এনডিটিভি
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান (ফ্লাইট নম্বর AI 171) লন্ডনের গ্যাটউইক যাওয়ার উদ্দেশে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। কিন্তু মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেঘানিনগরের বিএস মেডিকেল কলেজের আবাসিক ভবনে আছড়ে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আকাশে ভয়ানক বিস্ফোরণ ও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। বহু দেহ পুড়ে গেছে, আহতদের অনেকের শরীর ঝলসে গেছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে আহমেদাবাদ পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে যান দুর্ঘটনাস্থলে। তার সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। পরে সিভিল হাসপাতালে যান মোদি, সেখানে ভর্তি একমাত্র বেঁচে থাকা যাত্রী বিষ্ণু কুমার রমেশের সঙ্গে কথা বলেন।
দুর্ঘটনার পর মোদি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেছেন, ‘এই দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও স্তব্ধ। এই কঠিন সময়ে নিহতদের পরিবার ও আহতদের প্রতি আমার সহানুভূতি রইল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশনের বিবৃতি অনুযায়ী, বিমানের ক্যাপ্টেন সুমিত সাবরওয়াল ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পাইলট, যার ৮ হাজার ২০০ ঘণ্টার ফ্লাইট অভিজ্ঞতা ছিল। তার সঙ্গে ছিলেন ১ হাজার ১০০ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডার নাগরিক। দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি ব্রিটিশ নাগরিক হলেও তার মূল শিকড় ভারতে।
অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, উড্ডয়নের পরপরই বিমানের দুই ইঞ্জিনে পাখির ধাক্কায় দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে বিএস মেডিকেল কলেজের অন্তত পাঁচজন ছাত্র-ছাত্রী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
