শিরোনাম
◈ পূর্বে ছিলো ৫টি সংসদীয় আসন: গাজীপুরের প্রস্তাবিত ৬টি সংসদীয় আসনের এলাকা ◈ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংকট, এবার ৪৬৮ কলেজে খালি থাকবে দেড় লক্ষাধিক আসন ◈ চার খাতের সক্ষমতা বাড়াতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন ◈ ‎লালমনিরহাটে হঠাৎ বন্যা, কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি ◈ ভারতের ওপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের, দিলেন হুমকিও ◈ সাইবার হামলার ঝুঁকিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জরুরি সতর্কতা বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ বিএনপি অফিসের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ◈ সরকারের যে কোনো ভুল সিদ্ধান্তে মাথাচাড়া দিতে পারে ফ্যাসিস্ট: তারেক রহমান ◈ এমপিওভুক্ত পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য সুখবর ◈ ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমদানি শুল্ক বাড়ছে: যে ৫ পণ্যের দাম বাড়তে পারে

প্রকাশিত : ১০ জুন, ২০২৫, ০১:৩৭ রাত
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হানিমুনের ফাঁদ: প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশে স্বামী খুন, তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যার পর নিখোঁজ নববধূ সোনম রঘুবংশী (২৫)। এ নিয়ে নানা রহস্যের পর অবশেষে আত্মসমর্পণ করেছেন সোনম। উত্তর প্রদেশের গাজিপুর জেলার নন্দগঞ্জ থানায় সোমবার সকালে তিনি আত্মসমর্পণ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। মেঘালয়ের পুলিশ জানিয়েছে, সোনম তার স্বামী রাজা রঘুবংশীকে হত্যার জন্য ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করেছিলেন। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আরও তিনজন এবং মেঘালয় থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোট চারজন অভিযুক্ত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। 

পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েম ব্রিফিংয়ে বলেন, সোনম হলেন মামলার প্রধান সন্দেহভাজন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জানান, অভিযুক্তদের একজনের সঙ্গে সোনমের সম্পর্ক ছিল কি না, তা এখনই নিশ্চিত নয়। তবে ‘ডটগুলো মিলিয়ে নিলে সেরকমই মনে হয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ১১ই মে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে পারিবারিকভাবে রাজা (৩০) ও সোনমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২০ মে এই দম্পতি মেঘালয়ে হানিমুনে যান। চারদিন পর তাঁরা নিখোঁজ হন। এক সপ্তাহ পরে রাজার পচা-গলা মৃতদেহ একটি গিরিখাতে উদ্ধার করা হয়— তার গলা কাটা পাওয়া যায়। কিন্তু তার মানিব্যাগ, সোনার আংটি ও চেইন পাওয়া যাচ্ছিল না। সোনম তখনও অজ্ঞাতভাবে নিখোঁজ ছিলেন। 

পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা মেঘালয়ের পুলিশকে অভিযুক্ত করে প্রচারণা শুরু করেন। তারা অভিযোগ করেন, রাজ্যের পুলিশ যথাযথ তদন্ত করছে না এবং সোনমকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ। পরিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও চিঠি দিয়ে বিচার চেয়েছিল এবং কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবিতে বিভিন্ন রাজনীতিক ও জাতিগত নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সোমবার সকালে পুলিশ জানায়, সোনম গাজিপুরের একটি ধাবায় (সড়কপথের খাবারের দোকান) পৌঁছান, সেখানে তিনি একজনের মোবাইল ধার করে তার ভাইকে ফোন করেন। তিনি এরপর পুলিশকে খবর দেন। 

সোনমের পিতা দেবী সিং দাবি করেন, আমার মেয়ে নির্দোষ। সে এটি করতে পারে না। হয়তো সে অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে এসেছে। তিনি মেঘালয় পুলিশের বিরুদ্ধে ‘গল্প তৈরি’ করার অভিযোগ করেন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে অনুরোধ জানান যাতে এই মামলার কেন্দ্রীয় তদন্ত করা হয়।

রাজার ভাই বিপিন রঘুবংশী প্রাথমিকভাবে বলেন, সোনম নিজে না বললে আমরা বিশ্বাস করতে পারি না যে সে জড়িত। তবে পরে তিনি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া একজন অভিযুক্ত সোনমের অফিসের কর্মী ছিলেন। তাই এখন শুধু সোনমই সত্যটা বলতে পারে। যদি সে দোষী হয়, তবে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেছেন, এই মামলায় আমাদের রাজ্যের পুলিশের বড় সাফল্য মাত্র সাতদিনে। একজন মন্ত্রী আলেকজান্ডার লালু হেক বলেন, যখন উদ্ধার অভিযান চলছিল, তখন পুলিশ ও সরকারকে অন্যায়ভাবে দোষারোপ করা হচ্ছিল। এখন সত্য উদঘাটিত হয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়