শিরোনাম
◈ ৩২ বছর পর হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন, তারিখ ঘোষণা ◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈ নতুন আইন হচ্ছে র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব

প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০১ দুপুর
আপডেট : ০১ মে, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নতুন 'নন-নিউক্লিয়ার' হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালাল চীন, সামরিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত

এটি কিন্তু সেই পুরোনো পারমাণবিক হাইড্রোজেন বোমা নয়, এর নতুনত্ব হলো এটি ‘নন-নিউক্লিয়ার’ বা অ-পারমাণবিক। এই অভিনব অস্ত্রটি তৈরি করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় শিপবিল্ডিং কর্পোরেশন (সিএসএসসি)। আর এরি মধ্য দিয়ে বিশ্বের সামরিক শক্তির ভারসাম্যে বড় রকমের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলো চীন। 

একটি নতুন হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করেছে চীন। দেশটির গবেষকরা এটির সফল পরীক্ষাও করেছেন। এটি পারমাণবিক বোমা থেকে আলাদা কিন্তু অনেক বেশি শক্তিশালী। 

চীনের হাইড্রোজেন বোমা অস্ত্রের জন্য ব্যবহৃত টিএনটি বিস্ফোরকের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি তাপ উৎপন্ন করে। এটি চীনের সামরিক শক্তিতে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। এই সফল পরীক্ষার পর চীনের কাছে এখন পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়াও একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র জমা হলো। 

বোমাটি চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং কর্পোরেশন দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। বোমাটিতে ম্যাগনেসিয়াম থেকে তৈরি হাইড্রোজেন উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এই উপাদানটি আগুনের গোলা তৈরি করে। এটি সাধারণ বিস্ফোরকের চেয়ে বেশি সময় ধরে জ্বলে, যা এটিকে অনেক বেশি বিপজ্জনক করে তোলে। হাইড্রোজেন বোমায় পারমাণবিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না।

চীন ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রাইড দিয়ে তৈরি দুই কিলোগ্রাম ওজনের একটি বোমা পরীক্ষা করেছে। রূপালী রঙের এই পাউডারটি প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন ধারণ করতে পারে। একটি ছোট বিস্ফোরণের মাধ্যমে জ্বলে ওঠে, যার ফলে ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রাইড দ্রুত উত্তপ্ত হয়। এটি হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত করে যা বাতাসের সঙ্গে মিশে গেলে পুড়ে যায়। 

এটি এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার একটি আগুনের গোলা তৈরি করে। এই আগুন দুই সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে জ্বলতে পারে, যা টিএনটি-র মতো অন্যান্য বোমার তুলনায় বেশি ক্ষতি করতে পারে।

গবেষক ওয়াং জুয়েফেং এবং তার দল জানিয়েছে, হাইড্রোজেন গ্যাস বিস্ফোরণের জন্য খুব কম শক্তি লাগে। এর শিখা খুব দ্রুত  এবং একটি বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই সংমিশ্রণ বিস্ফোরণের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। উৎপন্ন ভয়াবহ তাপ সহজেই বিশাল এলাকার লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন একটি হাইড্রোজেন বোমা প্রচলিত বিস্ফোরক দ্বারা চালিত হয়, তখন ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রাইড তাপ উৎপন্ন করে। এটি হাইড্রোজেন নির্গত করে, যা বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়। যখন এই গ্যাস একটি নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছায়, তখন এটি জ্বলে ওঠে। এই প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে যতক্ষণ না সমস্ত জ্বালানি শেষ হয়ে যায়।

গবেষকরা দেখেছেন যে চীনের এই নতুন অস্ত্রের বিস্ফোরণ টিএনটি-এর তুলনায় ৪০ শতাংশ কম। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের শক্তি ছিল ৪২৮.৪৩ কিলোপাস্কেল। এই অস্ত্রের শক্তি হল এটি যে তাপ উৎপন্ন করে যা ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। এই তীব্র তাপ একটি বিশাল এলাকা জুড়ে ক্ষতি করতে পারে।

তথ্য সূত্র - সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়