শিরোনাম
◈ পুলিশ সদস্যকে প্রেমের জেরে হত্যা, স্ত্রীসহ গ্রেফতার ৬ ◈ পাক সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি ভারতকে, ‘আক্রান্ত হলে কঠিন জবাব’ ◈ বিকৃত যৌ'না'চারের নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি, দুই নারী গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ১০০০ মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা ◈ ৫ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ আগামীকাল ◈ ‘নারীর দিকে তাকানোর ঘটনা নিয়ে’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত ২০ ◈ এআই দক্ষতায় পিছিয়ে বাংলাদেশ, সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছে না ◈ পুঁজিবাজারে এক মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকা ‘হাওয়া’, বিএসইসির নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ ◈ আবেগঘন মুহূর্ত: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের শিশুপুত্রের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ

প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:২৯ দুপুর
আপডেট : ০১ মে, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতীয়দের যুক্তরাষ্ট্রে ‘পাচার’ করতে দেশজুড়ে ৩৫০০ এজেন্ট

ভিসা ছাড়া বেআইনিভাবে ভারতীয়দের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর কাজে জড়িত একটি চক্র নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই চক্রের সঙ্গে শুধু সে দেশেই সাড়ে তিন হাজার এজেন্ট যুক্ত রয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই গুজরাটের। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এক এক জনকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করাতে ৫৫-৬০ লাখ ভারতীয় রুপি করে নেওয়া হতো বলে সন্দেহ ইডির।

কানাডা সীমান্ত হয়ে ভারতীয়দের অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করানোর চক্রের কথা অতীতেও বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে। ইডির দাবি, এই চক্রের সঙ্গে কানাডার কিছু কলেজ ও ভারতের বেশ কয়েকটি সংস্থা জড়িত রয়েছে।

গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে চার ভারতীয়র মৃত্যু হয়। তারা একই পরিবারের বাসিন্দা।

তাদের বাড়ি ছিল গুজরাটের একটি গ্রামে। অবৈধভাবে সীমান্ত পার করতে গিয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় মৃত্যু হয় তাদের। ওই ঘটনায় গুজরাটের আহমেদাবাদে মামলা হয়। মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে ভবেশ অশোকভাই পটেলের নাম।

আহমেদাবাদ পুলিশের করা মামলার প্রেক্ষিতে মাঠে নামে ইডিও। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে একটি পৃথক মামলা করে ইডি।

ইডির তদন্তে উঠে আসে বিভিন্ন বেআইনি পথে কানাডা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হতো ভারতীয়দের। যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইতেন, তাদের আগে কানাডার কিছু কলেজে ভর্তি করানোর ‘ব্যবস্থা’ করা হতো। তাদের জন্য করা হতো কানাডার স্টুডেন্ট ভিসাও।

কিন্তু কানাডায় পৌঁছনোর পর কলেজে ভর্তি করানোর বদলে কানাডা সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হতো যুক্তরাষ্ট্রে। এই চক্রে এক এক জন ভারতীয়র কাছ থেকে ৫৫-৬০ লাখ রুপি করে নেওয়া হতো বলে সন্দেহ তদন্তকারী কর্মকর্তাদের।

সম্প্রতি এই মামলার তদন্তে মুম্বাই, নাগপুর, গান্ধীনগর ও বড়োদরার আটটি জায়গায় অভিযান চালায় ইডির কর্মকর্তারা। তাতে মুম্বাইয়ের দুটি সংস্থা ও নাগপুরের একটি সংস্থার এই অবৈধ চক্রের সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

ইডির দাবি, এই চক্রের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় সাড়ে তিন হাজার এজেন্ট জড়িয়ে রয়েছেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৭০০ জন এজেন্ট শুধু গুজরাটেই রয়েছেন। য়ার এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছেন অন্তত ৮০০ এজেন্ট।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়