শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৩৭ দুপুর
আপডেট : ১১ মে, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, সিরিয়া, এরপর কোন দেশ?

যুগে যুগে জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন অনেক শাসক। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান।

এবার দেশ ছেড়ে পালানোর তালিকায় যুক্ত হলেন সিরিয়ার দুই যুগের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এর আগে ২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকট ও জনগণের ব্যাপক আন্দোলনের কারণে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

তীব্র আন্দোলনের মুখে এ ধরনের পালানোর ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। বেশ কিছু দেশে স্বৈরশাসন বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন কিংবা বিদেশি চাপের কারণে অনেক সরকার প্রধানই ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সম্প্রতি কয়েকটি দেশে স্বৈরশাসনের পতনের পর বিশ্বব্যাপী নতুন করে আলোচনার তৈরি হয়েছে- শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, সিরিয়া এর পরে কোন দেশ?

বর্তমানে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সীমিত বা বিলোপ করে স্বৈরশাসন বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন চলছে। পরর্বতীতে এই দেশগুলোতেই ঘটতে পারে এমন বিদ্রোহ কিংবা আন্দোলন। হতে পারে পরবর্তী স্বৈরাচারের পতন।

দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম আলোচনায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটিতে বর্তমানে কিম জং উনের নেতৃত্বে একনায়কতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শাসক পরিবারের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের বিরোধিতা কঠোর হাতে দমন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে।

স্বৈরশাসনের তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে বেশ আলোচনায় রয়েছে বেলারুশ। বর্তমানে দেশটিতে আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো বেলারুশ শাসন করছেন। নির্বাচনে কারচুপি এবং বিরোধীদের দমন করার কারণে তার সরকার স্বৈরাচারী বলে বিবেচিত করা হয়।

আলোচনায় থাকা ভেনেজুয়েলা দেশটিও গণতন্ত্র থেকে দূরে সরে গেছে বলে ধারণা করা হয়। দেশটির শাসক নিকোলাস মাদুরের বিরুদ্ধে বিরোধীদের দমন, স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রের ক্ষমতা একচেটিয়াভাবে কুক্ষিগত করার অভিযোগ রয়েছে।

বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে আসছে রাশিয়া। আলোচিত শাসক ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। দেশটির শাসনব্যবস্থা অনেকটা স্বৈরতান্ত্রিক রূপ নিয়েছে।

মিয়ানমারেও একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। ফলে, স্বৈরশাসনের আলোচনার মধ্যে রয়েছে দেশটি।

ইরানে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসেবে পরিচিত হলেও ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির হাতেই ন্যস্ত রয়েছে।

কম্বোডিয়ায় হুন সেনের কয়েক দশকের শাসনকালে স্বৈরশাসন আরো স্পষ্ট হয়েছে। দেশটির শাসনব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক বলা হয়। তবে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, দেশটি কার্যত স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রয়েছে। সূত্র : বাংলানিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়