শিরোনাম
◈ বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার হবু বউকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার! ◈ গণমামলা আর গণআসামির নেপথ্যে চাঁদাবাজি? ◈ সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করার জেরে তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি - যা জানা যাচ্ছে ◈ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস ◈ গ্যাস সঙ্কটে ১৬২০ কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করছে সরকার ◈ সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতা-বিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ◈ প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে: এনবিআর  ◈ জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত সরকারের, আমরা প্রতিহত করবো: নুরুল হক (ভিডিও) ◈ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিমুখী করতে

প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:১৪ দুপুর
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা’কে কী ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ? আল জাজিরার প্রতিবেদন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিটি) প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আল জাজিরা জানায়, ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনাকে প্রতিবেশী ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে আইসিটি।

আইসিটির প্রধান কৌঁসুলি জানান, আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে তৎকালীন সরকার পরিচালিত ভয়াবহ সহিংসতার জন্য বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর আইনি প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকার পরিচালিত সহিংসতার প্রেক্ষাপটে টানা কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থানের কারণে ঢাকা‑দিল্লি সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি নিরসনে তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আল জাজিরাকে বলেন, টানা ১৫ বছর বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিক্ষোভের সময় হওয়া সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য তার বিচার চায় জনগণ। যেহেতু মূল অপরাধী পালিয়েছে, আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করছি।’

তাজুল জানান, ভারতের সাথে বাংলাদেশের অপরাধী প্রত্যর্পণ সম্পর্কিত একটি চুক্তি ২০১৩ সালে সই হয়েছে। সে সময় শেখ হাসিনার সরকারই ক্ষমতায় ছিল। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে হওয়া ধ্বংসযজ্ঞের মূল অভিযুক্ত যেহেতু তিনি, সেহেতু আমরা তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করতে আইনি পথে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।’

গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পটপরিবর্তনের পর শেখ হাসিনাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। ঢাকা তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। এ অবস্থায় হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জনপরিসরে আলোচনা চলছে।

তবে ভারতের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, যেকোনো পক্ষ চাইলে অপরাধী প্রত্যর্পণের বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারে, যদি তার কাছে মনে হয়, আনীত অভিযোগ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।

যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন এটা স্পষ্ট করেছে যে, পলাতক নেতাকে বিচারের আওতায় আনতে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসও গত সপ্তাহে দেশে ফেরানোর আগ পর্যন্ত ভারতে পলাতক থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ থাকার কথা বলেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে ফেরত আনার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তবে শর্ত থাকবে যে, তিনি যেন চুপ থাকেন।’

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের ভীষণ চাপে রয়েছে। বাংলাদেশের জনপরিসরে ভারতবিরোধী অবস্থান দিন দিন তীব্র হচ্ছে।

শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশে হাসিনার বিচার হতে হবে।

এমন নানামুখী চাপের মুখে এবং বিদ্যমান বাস্তবতায় ভারত বেশ সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে পড়েছে। কারণ ঢাকা‑দিল্লি সম্পর্ক দিন দিন তিক্ত হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়