সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] গত বছর স্বেচ্ছায় গাজার বাসিন্দাদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভুত প্রখ্যাত ডাক্তার গাসসাম আবু সিত্তা। তার বিরুদ্ধে জার্মানির জারী করা শেনঝেনজুড়ে নিষেধাজ্ঞাকে ব্যবহার করে এ গাসসামকে ফ্রান্স প্রবেশে বাঁধা দেওয়া হয়। সূত্র : মিডল ইস্টআই
[৩] ডাক্তার গাসসাম বলেন, প্যারিসের দ্য গল বিমানবন্দরে শনিবার তাকে ফ্রান্সে প্রবেশে বাঁধা দেওয়া হয়। দেশটিতে গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর এক সেমিনারে তার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। এরআগে জার্মানিও তাকে বার্লিনে অনুরূপ সেমিনারে যোগদান বাধা প্রদান করে।
[৪] ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচার বিষয়ক আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের(আইসিজেপি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন ডাক্তার গাসসাম। তিনি বলেন, দ্য গল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, জার্মানি তার ইউরোপের যে কোন দেশে প্রবেশ ঠেকাতে তার ওপর শেনঝেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইসরায়েলের বর্বর বোমা হামলার সাক্ষী এই ডাক্তার বলেন, তার কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
[৫] ডা. গাসসাম এক্সএ দেওয়া বলেন, ইউরোপের দুর্গ গণহত্যার সাক্ষীর মুখ বন্ধ করছে অন্যদিকে ইসরায়েল তার বন্দিশালায় হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনি সার্জন আদনান আল-বুরশের হত্যার প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।
[৬] ডা. গাসসাম বলেন, উপনিবেশিক গণহত্যা হল ইউরোপীয় পরিচিতির অন্যতম উপকরণ। এ কারণে তারা সাক্ষীদের মুখ বন্ধ করা এবং অপরাধিদের অস্ত্র যোগান দেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
[৭] এ ব্যাপারে মিডলইস্টআই ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :