সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় সাত মাস ধরে চলা নির্বিচার এই হামলার জেরে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে। এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। সেখানে নেই খাবার, ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় কোন পণ্য। সূত্র : এএফপি
[৩] চলমান ইসরায়েলি হামলায় উত্তর গাজায় সর্বাত্মক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে। সেখানে মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ইসরায়েল ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
[৪] এমন অবস্থায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে চলছে সর্বাত্মক চেষ্টা। যুদ্ধবিরতি অর্জনে চলছে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলাপ-আলোচনাও। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, গাজায় যুদ্ধের অবসান ছাড়া কোনও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন না তারা।
[৫] বার্তাসংস্থা এএফপি রোববার(৫ মে) জানায়, ইসরায়েলের সঙ্গে হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে এবং যেকোনও সময় এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে বলে আগেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছিল।
[৬] হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা শনিবার গভীর রাতে অবশ্য জোর দিয়ে জানিয়েছেন, হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির এমন কোনও প্রস্তাবে ‘কোনও পরিস্থিতিতেই একমত হবে না’ যেটাতে স্পষ্টভাবে যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির কথা অন্তর্ভুক্ত থাকবে না।
[৭] এএফপি বলছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ওই কর্মকর্তা ‘গাজায় আগ্রাসন বন্ধের বিষয়টি যুক্ত না করে’ কেবল বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তি করার বিষয়ে ইসরায়েলি অপচেষ্টার নিন্দাও করেছেন।
[৮] এর আগে ইসরায়েলের উচ্চ-পর্যায়ের এক কর্মকর্তা শনিবার জানান, যুদ্ধের অবসান ঘটানোর যে দাবি হামাস করছে, তা ‘(যুদ্ধবিরতির বিষয়ে) চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে’।
[৯] হামাস ও ইসরায়েলের দুই কর্মকর্তার বক্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন প্রায় সাত মাসের যুদ্ধে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে শনিবার হামাসের আলোচকরা মিসরে গেছেন। রোববারও সেখানে এ নিয়ে বিষয়ে তারা আলোচনা করছেন মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে।
[১০] টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ওই ইসরায়েলি কর্মকর্তা অবশ্য বলেছেন, জিম্মি মুক্তির চুক্তির কাঠামোর বিষয়ে ‘ইতিবাচক ইঙ্গিত’ পেলেই কেবলমাত্র তারা কায়রোতে প্রতিনিধি দল পাঠাবে, যদিও এমন কিছু এখনও ঘটেছে বলে মনে হয়নি।
এসই/এমটি
আপনার মতামত লিখুন :