ববি বিশ্বাস: [২] সোমবার ইউরোপের কোপারনিকাস জলবায়ু মনিটরিং সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। সূত্র: রয়টার্স
[৩] সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে অসহনীয় তাপপ্রবাহ দেখা যায় যা মহাদেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ৪১ শতাংশ এলাকাতে চরম প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি করে।
[৪] এই তাপপ্রবাহের প্রভাব চলতি বছরেও ব্যাপক আকারে ইউরোপের জনজীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে। হিটওয়েভের সময় বাইরে কাজ করা নাগরিকগণ এবং বয়স্ক ও হৃদরোগ-ডায়েবেটিস আক্রান্তরা অধিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
[৫] কোপারনিকাস জলবায়ু মনিটরিং সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলে, বিগত ৩০ বছরে তাপপ্রবাহজনিত সমস্যার কারণে ইউরোপে মৃত্যু প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
[৬] ২০২৩ সালে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও গ্রিসের কিছু অংশ দশ দিন পর্যন্ত ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা অনভূত হয়। এসময় স্বাভাবিকের চেয়ে সাত শতাংশ বেশি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়।
[৭] উত্তপ্ত আবহাওয়ার কারণে ২০২২-২০২৩ সালে আলপাইন গ্লেসিয়ারের ১০ শতাংশ বরফ গলে যায়। এর ফলে স্লোবেনিয়ার ১৫ লাখ মানুষ ভয়ঙ্কর বন্যার মুখোমুখি হয়।
[৮] ২০২৩ সালের চেয়ে এ বছর পৃথিবীর তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কায় ইইউ-এর পরিবেশ সংস্থা গত মাসে সরকারগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রস্তুত ও বাইরে কাজ করে এমন কর্মীদের চরম তাপ থেকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। সম্পাদনা: এম খান
বিবি/আইকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :