পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা। ছবি: জিও টিভি
দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা।
গতকাল শনিবার সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা ডায়ালগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেনারেল মির্জা বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে যুদ্ধের সীমারেখা এখন বিপজ্জনকভাবে নিচে নেমে এসেছে, যা ১৫০ কোটিরও বেশি মানুষের জন্য মারাত্মক হুমকি।’
তিনি অবিলম্বে একটি কার্যকর সঙ্কট ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী সমাধানই দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে।’ কাশ্মীরকে দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনার মূল কারণ উল্লেখ করে জেনারেল মির্জা বলেন, ‘এই বিরোধ নিষ্পত্তি হলে গোটা অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যা সাধারণ জনগণের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে, ভারত কর্তৃক সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিলের হুমকিকে ‘পাকিস্তানের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
‘এ ধরনের পদক্ষেপ যুদ্ধ ঘোষণার সামিল,’ বলেন তিনি।
পাকিস্তান সব সময় কূটনৈতিক ও আলোচনা-ভিত্তিক সমাধানে বিশ্বাস করে জানিয়ে জেনারেল মির্জা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে পারস্পরিক সম্মান, সার্বভৌম সমতা ও মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।’
বক্তব্যে তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আট দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন, যার কেন্দ্রে ছিল কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান বারবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছে।