নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ভাউলাগঞ্জ পশু হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে হাট ইজারাদারকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টায় ভাউলাগঞ্জ পশু হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পেয়ে দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমাণ্ডার ক্যাপ্টেন ইনজামামুল আমীন প্রীমনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল ভাউলাগঞ্জ হাটে উপস্থিত হন। এই সময় পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ ছিল, জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত খাজনা হার উপেক্ষা করে গরু প্রতি ক্রেতার কাছ থেকে ৫০০–৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০–২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ছাগলের ক্ষেত্রেও নিয়ম ভেঙে বিক্রেতার কাছ থেকে ১৫০ টাকা ও ক্রেতার কাছ থেকে ‘ঈদ বোনাস’ নামে ১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। যেখানে গরুতে ৪৫০ টাকা ও ছাগলে ১৩০ টাকা টোল নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আবার রশিদে টাকার পরিমাণও লেখা হচ্ছিল না। এতে ইজারাদার লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা। সেই সাথে হাটের কোথাও টোলের তালিকা প্রদর্শন করতে দেখা যায়নি।
পরে ক্যাপ্টেন ইনাজামাম হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পান। সেনাবাহিনীকে দেখে একাধিক ক্রেতা-বিক্রেতা রশিদ দেখিয়ে বাড়তি টোল ও চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানান।
পরে সেনাবাহিনীর পক্ষে থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানকে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে ইউএনও হাটে এসে ইজারাদার হারুন অর রশিদের উপস্থিতিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ইজারাদারকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
যদিও ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, সেনাবাহিনী না এলে প্রশাসনকে এই বিষয়ে পাশে পাওয়া হতো না। আজ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ইউএনও অর্থদন্ড করলেন ঠিকই কিন্তু নির্ধারিত টোলের বিষয়টি মাইকে জানাতে অনুরোধ করা হলেও তিনি তা করেননি। এখন সামনের হাটগুলোতে বাড়তি টোল আদায় বন্ধ হবে কিনা সেই সংশয় থেকেই যাচ্ছে।