শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:৪৯ দুপুর
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা-ঘাঁটিতে বসে বিশ্ব জুড়ে নজরদারি চালাচ্ছে আমেরিকা

ইকবাল খান: [২] অস্ট্রেলিয়ার বুকেই বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত গোয়েন্দাঘাঁটি তৈরি করেছে আমেরিকা। মার্কিন সেই গোয়েন্দাঘাঁটির নাম পাইন গ্যাপ। ঠিকানা দেশটির ছোট্ট শহর অ্যালিস স্প্রিং। সেখানেই মরুভূমির ধু ধু প্রান্তরের মাঝে জেগে থাকা দ্বীপের মতো মাথা তুলে আছে আমেরিকার পাইন গ্যাপ।

[৩] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে মরুভূমির মাঝে গোয়েন্দাঘাঁটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে আশপাশের সমুদ্র দিয়ে যদি কোনও বিদেশি গুপ্তচর জাহাজ যাতায়াত করে, তারা এই ঘাঁটির নাগাল পাবে না।

[৪] পাইন গ্যাপে অনেক অ্যান্টেনা বসানো আছে। কৃত্রিম উপগ্রহের দিকে তাক করা আছে সেই সব অ্যান্টেনা। উপগ্রহের সিগন্যাল অ্যান্টেনার মাধ্যমে গোয়েন্দাদের কাছে পৌঁছয়।

[৫] সমগ্র চীন, উত্তর কোরিয়া, ভারতীয় উপমহাদেশ এবং রাশিয়ার বড় অংশ এই দ্রাঘিমাংশের আওতায় রয়েছে। ফলে এই দেশগুলির অন্দরে নজরদারির জন্য পাইন গ্যাপ উপযুক্ত।

[৬] অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে ১৯৭০ সাল থেকে এই আমেরিকান গুপ্তচর ঘাঁটির কার্যকলাপ শুরু হয়।

[৭] আমেরিকার বিভিন্ন গুপ্তচর সংস্থা বর্তমানে পাইন গ্যাপ থেকে ন’টি জিয়োসিংক্রোনাস স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ করে। সেখান থেকে সিগন্যাল ধরার জন্য রয়েছে ৪০টি আলাদা অ্যান্টেনা।

[৮] এই স্যাটেলাইটগুলি পৃথিবীর সঙ্গে একই দিকে প্রায় একই ভাবে ঘুরে চলেছে। ফলে এগুলি থেকে পাঠানো সিগন্যালের তথ্য প্রায় ১০০ শতাংশ সঠিক হিসাবে ধরা হয়। একই সময়ে এক জায়গা থেকে পৃথিবীর বিস্তীর্ণ অংশ দেখা যায় এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।

[৯] আমেরিকার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে পাইন গ্যাপ থেকে সাহায্য পায় আরও চার দেশ। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউ জিল্যান্ডের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছেও স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য পৌঁছে যায়। আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউ জিল্যান্ডকে একত্রে ‘ফাইভ আইস’ বলা হয়।

আইকে/এইচএ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়