ইরানের তৈরি জাফর এবং পায়া উপগ্রহ এই শরতে রাশিয়ার সয়ুজ রকেটে উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির মহাকাশ সংস্থা। অন্যদিকে চাবাহার মহাকাশ বন্দরের কাজও এগিয়ে চলেছে বলে জানানো হয়েছে।
ইরানি মহাকাশ সংস্থার প্রধান হাসান সালারিয়ে বার্তা সংস্থা তাসনিমকে বলেছেন, দুটি দূর-সংবেদনশীল উপগ্রহ জাফর এবং পায়া গত বছর উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। এই শরতে রাশিয়ার সয়ুজ রকেটের মাধ্যমে এগুলি কক্ষপথে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, একটি অভ্যন্তরীণ উৎক্ষেপণের বিকল্প এখনও পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
ইরানি ১৪০২ সালে উপগ্রহগুলি উন্মোচিত হয় এবং ১৪০৩ সালে একটি বিদেশী লঞ্চারে উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়ান পক্ষ থেকে বিলম্বের কারণে সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
সালারিয়ে আরও বলেন, চাবাহার মহাকাশ বন্দরের প্রথম পর্যায় তথা কঠিন জ্বালানী উৎক্ষেপকের জন্য ডিজাইন বছরের শেষ নাগাদ কার্যকর হবে। যার মধ্যে একটি লঞ্চ প্যাড, কমান্ড সেন্টার, টেলিমেট্রি সিস্টেম এবং বিদ্যুৎ ও রাস্তার মতো অবকাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পরীক্ষা সমাপ্তির পর প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে। মাঝারি শ্রেণির তরল জ্বালানি উৎক্ষেপকগুলির উপর আলোকপাত করে দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ এই বছর শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, নাহিদ-২ যোগাযোগ উপগ্রহের দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক মডেলটিও এই বছর দেশীয় সিমোর্গ লঞ্চারে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সূত্র: মেহর নিউজ