স্পোর্টস ডেস্ক : ওমানের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়। রোববার রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে রক্তচাপ বাড়াবে গৌতম গম্ভীর, সূর্য কুমার যাদবদের। এশিয়া কাপের শুরুতে জয়ের হ্যাটট্রিক। গ্রুপের তিনটে ম্যাচ জিতে টেবিলের একনম্বর দল হিসেবেই সুপার ফোরে টিম ইন্ডিয়া। শুক্রবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ওমানকে ২১ রানে হারাল ভারত। তবে যতটা অনায়াসে জেতার কথা ছিল, সেটা হয়নি। বল হাতে লড়াই করার পর, ব্যাট করতে নেমে চমক দেয় ওমান।
প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৮ রান তোলে ভারত। মনে হয়েছিল, আবু ধাবির মন্থর উইকেটে এই রান তাড়া করতে গিয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে ওমানের ইনিংস। কিন্তু রীতিমত লড়াই করে। এদিন ছিলেন না যশপ্রীত বুমরা।
বাকি ভারতীয় বোলারদের তেমন তোয়াক্কা করেনি প্রতিপক্ষের অনামী ক্রিকেটাররা। নির্ধারিত ওভারের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে শেষ করে ওমান।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম উইকেটে ৫৬ রান যোগ করে ওমান। ৩২ রানে আউট হন অধিনায়ক যতীন্দর সিং। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৩ রান যোগ করে আমির কালিম এবং হাম্মাদ মির্জা জুটি। দু'জন ভারতীয় বোলিংকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সূর্যকুমাররা সহজে জিতলেও, অপ্রত্যাশিতভাবে ওমান ম্যাচ পুরো ওভার খেলতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। দ্বিতীয় উইকেটে একটা সময় ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ওমান। জয়ের লক্ষ্যেই এগোনোর চেষ্টা করেন কালিম, মির্জারা। এই জুটিকে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল।
৪৬ বলে ৬৪ রান করে কালিম আউট হওয়ার পর ম্যাচ থেকে কিছুটা হারিয়ে যায় মিনোজরা। ২টি ছয় এবং ৭টি চার দিয়ে ইনিংস সাজান ওমানের ওপেনার। ৩৩ বলে ৫১ রান করে আউট হন হাম্মাদ। তবে ওমানের এই লড়াই অন্যান্য অ্যাসোসিয়েট দেশগুলোর কাছে বড় প্রেরণা।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারের শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তোলে ভারত। দুর্বল ওমানের বিরুদ্ধে দুশোর গণ্ডি পেরোতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। তার প্রশংসা প্রাপ্য ওমানের বোলারদের। যথেষ্ঠ ভাল বল করেন। বিশেষ উল্লেখ করতে হবে শাহ ফয়জলের। শুভমন গিলকে আউট করার পর সঞ্জু স্যামসনকেও ফেরান।
২৩ রানে তুলে নেন জোড়া উইকেট। এদিন সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন সঞ্জু। তিন নম্বরে নেমে অর্ধশতরান করেন। তিনটে ছয় এবং চারের সাহায্যে ৪৫ বলে ৫৬ রান করেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ না পেলেও, এদিন সেটা পুশিয়ে দেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অভিষেক শর্মা। যথারীতি শুরুতে বিধ্বংসী ইনিংস বাঁ হাতি ওপেনারের।
আরও একবার দলের ভীত গড়ে দেন তিনি। কিন্তু আবারও অর্ধশতরান হাতছাড়া। ১৫ বলে ৩৮ রান করে আউট হন অভিষেক। ইনিংসে ছিল দুটি ছয় এবং পাঁচটি চার। রান পাননি শুভমন গিল। মাত্র ৫ রানের মাথায় তাঁর অফস্ট্যাম্প ছিটকে দেন শাহ ফয়জল।
এদিনের ম্যাচকে গুরুত্ব দেয়নি ভারত। ব্যাটিং প্র্যাকটিস হিসেবেই নেয়। যার ফলে একমাত্র সূর্যকুমার যাদব ছাড়া সবাই ব্যাট করার সুযোগ পায়। আট নম্বর উইকেট হারানো সত্ত্বেও নামেননি ভারত অধিনায়ক। এদিন ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি হার্দিক পাণ্ডিয়ার। মাত্র ১ রানে রান আউট হন। লোয়ার অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন অক্ষর প্যাটেল (২৬) এবং তিলক বর্মা (২৯)। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতকে ১৮৮ রানে পৌঁছে দেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তবে ওমানের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় পাকিস্তান ম্যাচের আগে গম্ভীরদের চিন্তা বাড়িয়ে দিল।