স্পোর্টস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক নিলাম প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ অকশনের নিলাম থেকে মাইকেল জর্ডান ও কোবে ব্রায়ান্টের সই করা কার্ডটি বিক্রি হয়েছে রেকর্ড দামে। অজ্ঞাত এক ক্রেতা তাদের সই করা কার্ডটির জন্য দিয়েছেন ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৫৫ কোটি ৮৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা। এটিই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্পোর্টস কালেক্টেবল কার্ড।
এর আগে ১৯৫২ সালের টপস মিকি ম্যান্টল কার্ড ২০২২ সালে বিক্রি হয়েছিল ১ কোটি ২৬ লাখ ডলারে, বাংলাদেশি টাকায় যা ১৫১ কোটি ৮৭ লাখ ৯৬ হাজার। এতদিন এটিই ছিল ক্রীড়া ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া কার্ড।
২০০৭-০৮ আপার ডেক এক্সকুইজিট কালেকশন ডুয়াল লোগোম্যান’ নামক এই কার্ডটিতে দুই কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের ছবি, স্বাক্ষর এবং তাদের জার্সি থেকে নেওয়া এনবিএ লোগোর দুটি প্যাচ রয়েছে। টেক্সাসের ডালাস শহরে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
ধারণা করা হয়েছিল, জর্ডান অ্যান্ড ব্রায়ান্ট কার্ড নিলামে তুললে এর দাম উঠতে পারে ৬০ লাখ ডালেরও বেশি। তবে শেষ পর্যন্ত ৮২টি বিডের পর এর মূল্য ধারণার চেয়েও দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি হয়েছে, যা ক্রীড়া ইতিহাসেরও রেকর্ড দাম।
ক্রীড়াঙ্গনের সব সংগ্রহযোগ্য জিনিসপত্রের মধ্যে সবচেয়ে দামি হলো বেসবল কিংবদন্তি বেব রুথের ১৯৩২ ওয়ার্ল্ড সিরিজ কল্ড দ্য শট জার্সি। ২০২৪ সালে যা বিক্রি হয়েছিল ২ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার ডলারে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৯০ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।
মাইকেল জর্ডানকে এনবিএ বাস্কেটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় বিবেচনা করা হয়। ১৯৯১ সালে ১৯৯৮ সালের মধ্যে শিকাগো বুলসকে যিনি ছয়বার চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। অন্যদিকে নিজের দুই দশকের ক্যারিয়ারে এলএ লেকার্সের হয়ে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কোবে ব্রায়ান্ট। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ২০২০ সালে মারা যান তিনি।
উল্লেখ্য, ট্রেডিং কার্ড কোম্পানি ‘আপার ডেক’ ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ‘ডুয়াল এনবিএ লোগো অটোগ্রাফস’ নামের এই সিরিজটি প্রকাশ করেছিল, যেখানে বাস্কেটবলের একাধিক কিংবদন্তি তারকাকে একই কার্ডে দেখা যায়।
এই সিরিজের প্রত্যেকটি কার্ডের কেবল একটি সংস্করণই প্রকাশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে জর্ডানকে আটটি কার্ডে দেখা গেছে, যেখানে তার সঙ্গে ছিলেন লেব্রন জেমস ও স্কটি পিপেনের মতো তারকারা। অন্যদিকে ব্রায়ান্ট ছিলেন মোট ১১টি কার্ডে। তথ্যসূত্র, সময়নিউজ