শিরোনাম
◈ বাংলাদেশে তিন বছরে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশে ◈ রুমিন ফারহানাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যা বললেন আরজে কিবরিয়া ◈ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের ওপর ডাকাত দলের হামলা, গোলাগুলি ◈ কাপাসিয়ার কামারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়: বিনা ছুটিতে আমেরিকা বসে বেতন নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ◈ চীনের বাঁধে ভারতের পানিঝুঁকি, বাড়ছে সংঘাতের আশঙ্কা ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তেজনা প্রশমণে ভারতের লবিং ফার্ম নিয়োগ  ◈ বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্কের স্থায়িত্বে প্রয়োজন ক্ষমা প্রার্থনা: বিশেষজ্ঞদের মত ◈ ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪১২ ◈ ‌‌‌'আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ন..গ্ন ভিডিও করে রেখে দিতেন তৌহিদ আফ্রিদি' (ভিডিও) ◈ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পশ্চিমা বিশ্বের ১১ দেশের

প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:৪৩ রাত
আপডেট : ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : আর রিয়াজ

চীনের বাঁধে ভারতের পানিঝুঁকি, বাড়ছে সংঘাতের আশঙ্কা

রয়টার্সের এক্সক্লুসিভ: তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের (ইয়ারলুং সাংপো) ওপর চীনের নতুন মেগা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে ভারতের পানিপ্রবাহ ৮৫% পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্ভাব্য পানিযুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের বাঁধ কার্যকর হলে ভারতে প্রবাহিত পানির এক-তৃতীয়াংশের বেশি নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে বেইজিংয়ের হাতে। এতে বিশেষত আসাম ও গুয়াহাটির মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পানিসংকট দেখা দিতে পারে।

ভারতও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে অরুণাচল প্রদেশের আপার সিয়াং অঞ্চলে নিজস্ব একটি বিশাল বাঁধ নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এনএইচপিসির প্রস্তাবিত এই প্রকল্প ১৪ বিলিয়ন ঘনমিটার পানি সঞ্চয় করতে পারবে, যা শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে এবং আকস্মিক বন্যা মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

২০০০ সালের শুরু থেকেই ভারত ব্রহ্মপুত্রের পানিনিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। তবে স্থানীয় জনগণের তীব্র বিরোধিতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু চীনের ২০২০ সালের মেগা বাঁধ ঘোষণার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায় এবং ভারত বাধ্য হয় নতুন পরিকল্পনা হাতে নিতে।

চীনের দাবি, তাদের বাঁধ বৈজ্ঞানিকভাবে নির্মিত এবং ভাটির দেশগুলোর পানি বা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না। তারা ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। তবে দিল্লি এখনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। কেবল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সম্প্রতি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাঁধ নিয়ে এই প্রতিযোগিতা দুই দেশের কৌশলগত টানাপড়েন আরও বাড়াবে। ভবিষ্যতে পানিসম্পদকে কেন্দ্র করে সংঘাত এড়াতে ভারত ও চীনের মধ্যে আলোচনা ও সহযোগিতা বাড়ানো জরুরি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়