স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটসাল খেলার বিকাশে বড়সড় উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সেই যাত্রার সূচনাতেই আন্তর্জাতিক মানের এক কোচকে দায়িত্বে এনেছে সংস্থাটি; ইরানের সাঈদ খোদারাহমি।
শনিবার রাতে ঢাকায় এসে রোববার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন ৫৯ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ কোচ। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ও ফুটসাল কমিটির চেয়ারম্যান ইমরানুর রহমানের সঙ্গে বসে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।
আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, ‘বাংলাদেশে আজ ফুটসালের জন্ম হয়েছে। এটি এখনো শিশু, আর ইরান সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়। এই শিশুকে বড় করে তোলার দায়িত্ব আমি নিতে চাই।
ইরানে প্রায় প্রতিটি গ্রামে একটি করে ফুটসাল স্টেডিয়াম থাকলেও বাংলাদেশে নেই স্থায়ী কোনো অবকাঠামো। তবুও সাঈদ আশাবাদী। বললেন, ‘মিয়ানমারে যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, সেখানেও একই অবস্থা ছিল। এখন তারা অনেক উন্নতি করেছে। আমি চাই, একদিন বাংলাদেশের মানুষও আমাকে মনে রাখুক।
দুই দশকের কাছাকাছি সময় ধরে ফুটসাল কোচিংয়ে যুক্ত রয়েছেন সাঈদ। শুধু ইরান নয়, মিয়ানমারের জাতীয় নারী ও পুরুষ ফুটসাল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন এএফসি’র ফুটসাল ইন্সট্রাক্টর হিসেবেও। তার কোচিংয়ে মিয়ানমারের র্যাঙ্কিং ১০৩ থেকে উঠে আসে ৮০-তে।
আগামী সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় বসছে এশিয়ান কাপ ফুটসালের বাছাইপর্ব। সেখানে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে বাংলাদেশ। ইরান, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলবে তারা। কোচ সাঈদের অধীনেই হবে এই অভিষেক। তার ভাষায়, ‘চ্যালেঞ্জটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।
বাছাইপর্বের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫৩ জন খেলোয়াড়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। সেখান থেকে দুই ধাপে বাছাই করে ২৪ জনের একটি তালিকা আগামী ১৯ আগস্টের মধ্যে এএফসিতে জমা দিতে হবে। চূড়ান্ত স্কোয়াড হবে ১৪ জনের—যার মধ্যে থাকবে ২ জন গোলরক্ষক ও ১২ জন আউটফিল্ড খেলোয়াড়।
২০০৮ সালে একটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টের পর থেকে ফুটসাল নিয়ে কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল বাফুফে। এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে চায় তারা। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল জানান, ‘পুরুষদের পাশাপাশি নারী ফুটসাল লিগ চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব যেদিকে যাচ্ছে, আমাদেরও সেই দিকেই এগোতে হবে।