শিরোনাম
◈ মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের সময় ছিল ৫৯০ শিক্ষার্থী ◈ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত, প্রজ্ঞাপন জারি ◈ একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি ও ছাত্রদল ◈ যেই দ্বীপে বাড়ি কিনলেই মিলবে নাগরিকত্ব! সৌন্দর্যের পাশাপাশি পাসপোর্টে মিলছে বৈশ্বিক সুবিধা ◈ বকেয়ায় কয়লা আমদানি করতে না পারায় বন্ধের পথে বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র! ◈ থানার সামনের পুকুরে সিজুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় (ভিডিও) ◈ সাইবার হামলার হুমকিতে রাশিয়া এরোফ্লোট এয়ারলাইন্স, ডজনখানেক ফ্লাইট বাতিল ◈ ভারতে মুসলিমরা এখন ‘ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু’ , রাজ্য নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে মুসলিমদের উচ্ছেদ ও বহিষ্কার ◈ আগামী ২৭ থেকে ৩০ অক্টোবর রিয়াদে অনুষ্ঠেয় ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ ◈ ডকুমেন্ট সত্যায়নের ভোগান্তি কমেছে, মাসে দেড় লাখ নথি সত্যায়ন, এপোস্টিলে যেভাবে কাজ হয়

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ০৫:৪৩ বিকাল
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নবীনগরে জি-নাইন কলা চাষে সফলতা

মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কৃষিখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সম্ভাবনাময় এক নাম হয়ে উঠেছে জি-নাইন কলার চারা। অল্প সময়ে অধিক ফলন, রোগবালাই কম এবং কলা সংরক্ষণ করা সহজ হওয়ায় টিস্যু কালচারের মাধ্যমে তৈরি এই উন্নত জাতের কলা গাছ ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান প্রথমবারের মতো টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উদ্ভাবিত জি নাইন কলা আবাদ করে লাভবান। 

সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রায় এক বিঘার বেশি জমিতে ২২৫ টি জি- নাইন কলার চারা রোপণ করেছেন কৃষক হাবিব। বাগানের বয়স এক বছর না হলেও ইতিমধ্যে প্রতিটি গাছে ফলন এসেছে আশানুরূপ। একেকটি কাদিতে কলা এসেছে গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০টি পর্যন্ত।

কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, জি নাইন কলা অতি অল্প সময়ে ফলন দেয়, ফলের সংখ্যা অন্য স্থানীয় জাত থেকে প্রায় দ্বিগুণ, গাছের উচ্চতা কম হওয়া সহজে হেলে পড়েনা। টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উদ্ভাবিত এই চারা রোগবালাই কম। প্রতি ছড়িতে ২৫০ থেকে ৩০০ কলা হচ্ছে। প্রতি ছড়ি পাইকারি হিসেবে ছয়শত টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত মতো বিক্রি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৮৫ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে। আশাকরি এক লাখ টাকার কলা বিক্রি করা যাবে। 

উপসহকারী কৃষি অফিসার আক্তারুজ্জামান জানান, এক বিঘা বাগান করতে আনুমানিক ত্রিশ হাজার টাকা খরচ হবে, বছর শেষে বাগান থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। বাগানের চারা থেকে ফল ধরা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরামর্শ দিয়েছি। স্থানীয় জাতের তুলনায় ফলন ও বেশি, রোগ বালাই ও কম। অনেক কৃষকের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে এই বাগান।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় নবীনগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে কলা আবাদ হচ্ছে। এর মধ্যে জি-নাইন কলা আবাদ হচ্ছে প্রায় এক হেক্টর জমিতে। যদি ধীরে ধীরে সকল বাগানে এই জাতের কলা বাণিজ্যিকভাবে আবাদ করলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ও রপ্তানি করা সম্ভব। তবে এজন্য সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ, মানসম্পন্ন চারা সরবরাহ ও বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, জি-নাইন জাতের কলা মূলত ক্যাভেনডিশ গ্রুপের অন্তর্গত, যার বৈজ্ঞানিক নাম Grand Naine। এটি ইসরায়েল ও ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। বাংলাদেশে এই জাতের কলা চাষ সম্প্রতি কৃষকদের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে এর উচ্চ ফলন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং দ্রুত ফলদান ক্ষমতার কারণে।তাছাড়া এটি প্যানামা ডিজিজ, সিগাটোকাসহ নানা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম, ফলে কম খরচে বেশি লাভ সম্ভব। গড়ে দশ থেকে এগারো মাসে ফলন দিতে সক্ষম। তাছাড়া এক বার রোপণ করলে দুই বছরে কমপক্ষে তিনবার ফলন সংগ্রহ করা সম্ভব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়