থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি বাজারে গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করার পর নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছে এক বন্দুকধারী। সোমবার (২৮ জুলাই) এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর ওর তোর কোর কৃষিপণ্য বাজারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মেট্রোপলিটন পুলিশ ব্যুরোর প্রধান সিয়াম বানসোম বলেছেন, হামলাকারী প্রথমে নিরাপত্তা বিভাগের তিন কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর এক ব্যক্তিকে হত্যা করে, যার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছিল।
তিনি আরও বলেন, গুলি শেষ হয়ে গেলে সে আবার রিলোড করে বাজারের ভেতরে ঢুকে পড়ে।একজন নারী বিক্রেতাকে হত্যা করে এবং আরেকজনকে আহত করে।
পুলিশ প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা টুপি ও সামনে ঝোলানো ব্যাগসহ একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বাজারের পার্কিং এলাকায় হাঁটছেন।
৩৮ বছর বয়সী দুওয়াংনাপা ইয়িরুনসিরি বলেছেন, তিনি তার প্রেমিক ও বোনকে নিয়ে বাজারে এসেছিলেন। বাজার ছাড়ার সময় আচমকাই গুলির শব্দ শুনতে পান। তিনি বলেন, সে একের পর এক গুলি চালাচ্ছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির ভেতরে মাথা নিচু করে বসে পড়ি এবং পুলিশকে ফোন করি।
ব্যাং স্যু জেলায় অবস্থিত বাজারটিতে মূলত কৃষিপণ্য বিক্রি হয়। এই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সানোং স্যাংমানি বলেন, এই ঘটনায় কোনও বিদেশি পর্যটক হতাহত হননি।
থাইল্যান্ডের পর্যটন খাত দেশটির অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধীরগতিতে চলছে। এমন ঘটনাগুলো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।
থাইল্যান্ডে আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা নতুন কিছু নয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর একটি বিলাসবহুল শপিং মলে গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করেছিল।
২০২২ সালে সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা পূর্বাঞ্চলীয় এক নার্সারিতে গুলি ও ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে ৩৬ জনকে হত্যা করেছিলেন। নিহতদের মধ্যে ২২ জন শিশু ছিল।