স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতের আপত্তিতে ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস’-এ বাতিল হয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তার রেশ এখনও কাটেনি। যুবরাজ সিংহ, হরভজন সিংহ, শিখর ধাওয়ানেরা যা করেছেন, তা বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শুভমন গিলেরা করে দেখাতে পারবেন তো? এমনটাই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার সালমন বাট। তাঁর প্রশ্ন, আইসিসি-র বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় কি পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করার সাহস ভারত দেখাতে পারবে? --- আনন্দবাজার
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভারত-পাক ম্যাচ বাতিল হওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন সালমন। তিনি বলেন, “গোটা বিশ্ব এই নিয়ে আলোচনা করছে। ওরা সমর্থকদের কী বার্তা পাঠাল? ওরা কী দেখাতে চাইছে? কী প্রমাণ করতে চাইছে? এ বার বিশ্বকাপে আমাদের বিরুদ্ধে খেলো না। অলিম্পিকে আমাদের বিরুদ্ধে খেলো না। এই প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে? ক্ষমতা থাকলে বিশ্বকাপ, অলিম্পিকে পাকিস্তান ম্যাচ বাতিল করে দেখাও। চ্যালেঞ্জ থাকল।
সলমনের মতে, কোনও ভাবেই রাজনীতির সঙ্গে খেলোধুলোকে জড়িয়ে ফেলা উচিত নয়। ভারত বার বার সেটাই করছে বলে অভিযোগ তাঁর। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, “সব কিছুর আলাদা জায়গা আছে। রাজনীতি আর খেলাধুলো এক নয়। তোমরা রাজনীতির সঙ্গে খেলোধুলোকে জড়িয়ে ফেলছো। দয়া করে, আমাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিযোগিতায় খেলো না। আমি দেখতে চাই, সেটা পারো কি না। আমি দেখতে চাই, বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় তোমরা কতটা দেশভক্তি দেখাতে পারো।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস’-এ ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন ভারতীয় সমর্থকেরা। ক্রিকেটারদের সমালোচনা হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে হরভজন সিংহ, সুরেশ রায়না, শিখর ধাওয়ান, ইউসুফ ও ইরফান পাঠান জানিয়ে দেন যে তাঁরা খেলবেন না। তার পরেই খেলা বাতিল করে দেন আয়োজকেরা। ভারতীয় সমর্থকদের কাছে ক্ষমাও চান তাঁরা। সেই ঘটনায় ধাওয়ানকে নিশানা করেছেন পাকিস্তানের দলের অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। ধাওয়ানকে পচা ডিমের সঙ্গে তুলনা করে তাঁর দাবি, অনেকেরই খেলার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ধাওয়ানের চাপে পড়ে বাকিরা খেলা থেকে সরেছে।
ভারতীয় দলের বয়কটের সিদ্ধান্ত সকলের মিলিত সিদ্ধান্ত নয় বলে মনে করেন সলমনও। পাশাপাশি তিনি নিশানা করেছেন প্রতিযোগিতার আয়োজকদেরও। তিনি বলেন, “ওদের মানসিকতা আমি বুঝতে পারছি না। কারা এই সব সিদ্ধান্ত নেয়? চার-পাঁচ জন ঠিক করল যে খেলবে না। ওদের জন্য ম্যাচটাই বাতিল হয়ে গেল। আয়োজকেরা চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।