স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবলে ফিফা থেকে যা নিষিদ্ধ সেটা হরহামেশাই ঘটে থাকে, সেই বর্ণষৈম্যমূলক আচরণ, এবার মেক্সিকোর ক্লাব পাচুকার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচের শেষ দিকে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগার।
১০ জনের দল নিয়ে ৩-১ গোলে জয়ের পর কোচ শাবি আলোনসো জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফিফা।
রোববার (২২ জুন) নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লটে ডিফেন্ডার রাউল আসেনসিও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় রিয়াল। পাচুকার আক্রমণ সামলে জুড বেলিংহ্যাম ও আর্দা গুলেরের গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা। ৭০তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন ফেদেরিকো ভালভের্দে। এরপর একটি গোল শোধ করে পাচুকা।
ম্যাচের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে রুডিগারকে ফাউল করা হলে মাঠে কিছুটা ঝামেলার সৃষ্টি হয়। তখন রেফারি বুকের সামনে হাত ক্রস করে ‘অ্যান্টি-রেসিজম প্রোটোকল’ চালু করেন। মাঠে বর্ণবৈষম্য সংক্রান্ত কোনো ঘটনা ঘটলে রেফারিরা এমনটা করে থাকেন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রুডিগার বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন কি না – জানতে চাওয়া হলে রিয়াল কোচ আলোনসো বলেন, “এটাই রুডিগার বলেছে এবং আমরা তাকে বিশ্বাস করি। এই ধরনের ঘটনায় কোনো সহনশীলতা দেখানো উচিত নয়। ফিফা এখন বিষয়টি তদন্ত করছে। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না।
তবে রুডিগারের উদ্দেশে বর্ণবাদী আচরণ দর্শকদের কাছ থেকে এসেছে নাকি প্রতিপক্ষ কোনো ফুটবলারের কাছ থেকে – তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হয়নি।
রুডিগারের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়ানো পাচুকার গুস্তাভো কাবরাল বর্ণবৈষম্যমূলক কিছু বলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন এই ডিফেন্ডার বলেন, “আমি কোনো বর্ণবাদী কথা বলিনি। আমি শুধু বলেছি ‘চিকেন শিট’, যেটা আর্জেন্টিনায় আমরা বলি। ব্যস, এতটুকুই।
রেফারির রিপোর্ট এখনও হাতে না আসায় এই ঘটনায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে কিছু জানায়নি ফিফা।
৩২ বছর বয়সী রুডিগার অতীতেও বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন। চেলসি, রোমা এবং রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার সময় মাঠে ও অনলাইনে উভয় জায়গাতেই তাকে একাধিকবার এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।